০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য জানাতে চলেছেন অভিষেক

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার
  • / 23

মোল্লা জসিমউদ্দিন: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন এর নির্দেশনামার লড়াই পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। শনিবার পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বধীন বৃহত্তর বেঞ্চে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে চাইলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনজীবী মারফত এদিনই বলতে চেয়েছিলেন অভিষেক।

 

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্বার্থ দেশের নিরাপত্তার চেয়ে বড় নয়, মালয়েশিয়ায় মন্তব্য অভিষেকের

তবে প্রধান বিচারপতি এদিন এজলাসে জানান, ‘আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সময় নিজের বক্তব্য রাখতে পারবেন অভিষেকের আইনজীবী’। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বনাম বিচারপতির আইনী সংঘাতের জেরে শনিবার ছুটির দিনে জরুরি শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টে। শনিবার শুনানি চলাকালীন অভিষেকের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ”বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় সমস্ত নির্দেশেই কোনও না কোনও ভাবে আমার মক্কেলের নাম টেনে আনেন। অভিষেকের বক্তব্যও শোনা হোক।”

আরও পড়ুন: ১৭১ ভুয়ো এনকাউন্টারে তদন্ত, সুপ্রিম-নির্দেশে বিপাকে হিমন্ত

 

আরও পড়ুন: ১৫ জুন এক শিফটেই নিট-পিজি পরীক্ষা, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এর পরেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁকে জানান, ‘সোমবার এই মামলার শুনানির সময় নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন অভিষেক’। মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে যে বেনজির সংঘাত তৈরি হয়েছে, তার ভিত্তিতে শনিবার ছুটির দিনেও জরুরি শুনানির আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ মামলাটি শোনে।

 

বৃহত্তর বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ‘আপাতত কলকাতা হাইকোর্টে মেডিক্যালে ভর্তি মামলার সমস্ত বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার শুনানির পর এই সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে’।শনিবার শুনানি চলাকালীন অভিষেকের তরফে আইনজীবী ছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি অভিষেকের তরফে বলেন, ”বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর প্রায় সমস্ত নির্দেশেই কোনও না কোনও ভাবে আমার নাম টেনে আনেন। আমার বক্তব্যও শোনা হোক।”

 

এর পরেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁকে জানান, ‘সোমবার এই মামলার শুনানি হবে। সেখানেই বক্তব্য জানাতে পারবেন অভিষেক’।মেডিক্যাল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে মামলা করেছে রাজ্য। শনিবারই এসএলপি দাখিল করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। বৃহত্তর সেই অনুমতি দিয়েছে। আপাতত, সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা-ও স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

 

আদালত জানিয়েছে, ‘সোমবার পর্যন্ত মেডিক্যাল মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিতই থাকবে। তদন্ত করতে পারবে না সিবিআইও’। এই মামলায় রাজ্যকে নোটিসও জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নোটিস দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকেও। প্রধান বিচারপতি জানান, -‘মামলাকারী চাইলে মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন’।

 

এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে একটি চিঠিও জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে ৫ টি আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

আবেদন গুলি হলো যথা,১/ বিচারপতি আদালতের ভিতরে বা বাইরে বাদী-বিবাদী পক্ষকে নিয়ে নানা মন্তব্য করে থাকেন। সেই সব মন্তব্য যাতে কোনও ভাবেই তদন্তকে প্রভাবিত না করে, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। ২/, রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সাক্ষাত্‍কার দিচ্ছেন বিচারপতি। যা বিচারব্যবস্থার নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধাচরণের শামিল।

 

তাই অভিষেকের আর্জি, ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক। ৩/, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে যে সব মামলা রয়েছে, তাঁর বেঞ্চ থেকে যে মামলাগুলি সরে অন্য বেঞ্চে (বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ) গিয়েছে, সেই সব মামলার শুনানি ওই বিশেষ বেঞ্চেই হোক। ৪/বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যাতে কোনও বিচারাধীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করেন, তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক। ৫/, সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট যা উচিত মনে করবে, তেমনই নির্দেশ দেওয়া হোক। তবে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অভিষেকের লিপিবদ্ধ আর্জি খারিজ করেন। তবে অভিষেকের আইনজীবী নুতন করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক এমতাবস্থায় চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নজিরবিহীন ঘটনার পরিপেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলছে শুনানি। সেখানে আগামী সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বধীন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বৃহত্তর বেঞ্চে নুতন করে নিজের বক্তব্য পেশ করতে চান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্য জানাতে চলেছেন অভিষেক

আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন এর নির্দেশনামার লড়াই পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। শনিবার পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বধীন বৃহত্তর বেঞ্চে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে চাইলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনজীবী মারফত এদিনই বলতে চেয়েছিলেন অভিষেক।

 

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্বার্থ দেশের নিরাপত্তার চেয়ে বড় নয়, মালয়েশিয়ায় মন্তব্য অভিষেকের

তবে প্রধান বিচারপতি এদিন এজলাসে জানান, ‘আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সময় নিজের বক্তব্য রাখতে পারবেন অভিষেকের আইনজীবী’। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বনাম বিচারপতির আইনী সংঘাতের জেরে শনিবার ছুটির দিনে জরুরি শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টে। শনিবার শুনানি চলাকালীন অভিষেকের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ”বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় সমস্ত নির্দেশেই কোনও না কোনও ভাবে আমার মক্কেলের নাম টেনে আনেন। অভিষেকের বক্তব্যও শোনা হোক।”

আরও পড়ুন: ১৭১ ভুয়ো এনকাউন্টারে তদন্ত, সুপ্রিম-নির্দেশে বিপাকে হিমন্ত

 

আরও পড়ুন: ১৫ জুন এক শিফটেই নিট-পিজি পরীক্ষা, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এর পরেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁকে জানান, ‘সোমবার এই মামলার শুনানির সময় নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন অভিষেক’। মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে যে বেনজির সংঘাত তৈরি হয়েছে, তার ভিত্তিতে শনিবার ছুটির দিনেও জরুরি শুনানির আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ মামলাটি শোনে।

 

বৃহত্তর বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ‘আপাতত কলকাতা হাইকোর্টে মেডিক্যালে ভর্তি মামলার সমস্ত বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার শুনানির পর এই সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে’।শনিবার শুনানি চলাকালীন অভিষেকের তরফে আইনজীবী ছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি অভিষেকের তরফে বলেন, ”বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর প্রায় সমস্ত নির্দেশেই কোনও না কোনও ভাবে আমার নাম টেনে আনেন। আমার বক্তব্যও শোনা হোক।”

 

এর পরেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁকে জানান, ‘সোমবার এই মামলার শুনানি হবে। সেখানেই বক্তব্য জানাতে পারবেন অভিষেক’।মেডিক্যাল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে মামলা করেছে রাজ্য। শনিবারই এসএলপি দাখিল করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। বৃহত্তর সেই অনুমতি দিয়েছে। আপাতত, সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা-ও স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

 

আদালত জানিয়েছে, ‘সোমবার পর্যন্ত মেডিক্যাল মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিতই থাকবে। তদন্ত করতে পারবে না সিবিআইও’। এই মামলায় রাজ্যকে নোটিসও জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নোটিস দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকেও। প্রধান বিচারপতি জানান, -‘মামলাকারী চাইলে মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন’।

 

এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে একটি চিঠিও জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে ৫ টি আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

আবেদন গুলি হলো যথা,১/ বিচারপতি আদালতের ভিতরে বা বাইরে বাদী-বিবাদী পক্ষকে নিয়ে নানা মন্তব্য করে থাকেন। সেই সব মন্তব্য যাতে কোনও ভাবেই তদন্তকে প্রভাবিত না করে, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। ২/, রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সাক্ষাত্‍কার দিচ্ছেন বিচারপতি। যা বিচারব্যবস্থার নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধাচরণের শামিল।

 

তাই অভিষেকের আর্জি, ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক। ৩/, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে যে সব মামলা রয়েছে, তাঁর বেঞ্চ থেকে যে মামলাগুলি সরে অন্য বেঞ্চে (বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ) গিয়েছে, সেই সব মামলার শুনানি ওই বিশেষ বেঞ্চেই হোক। ৪/বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যাতে কোনও বিচারাধীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করেন, তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক। ৫/, সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট যা উচিত মনে করবে, তেমনই নির্দেশ দেওয়া হোক। তবে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অভিষেকের লিপিবদ্ধ আর্জি খারিজ করেন। তবে অভিষেকের আইনজীবী নুতন করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক এমতাবস্থায় চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নজিরবিহীন ঘটনার পরিপেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলছে শুনানি। সেখানে আগামী সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বধীন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বৃহত্তর বেঞ্চে নুতন করে নিজের বক্তব্য পেশ করতে চান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।