পারিজাত মোল্লা: সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে উঠে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির জামিন বিষয়ক মামলা। এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘ জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে দু’সপ্তাহে গ্রেফতার করা যাবে না’। অর্থাৎ পুলিশি হেফাজত থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। দু সপ্তাহের পর পুনরায় এই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে হবে।

কম্বলকাণ্ডে গত  শনিবার নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ে থেকে গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার তাঁর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গা ঢাকা দেওয়া জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে থাকে। গত শনিবার রাতেই জিতেন্দ্রকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলে। বিজেপি নেতাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল জেলা আদালত।

আসানসোলের কম্বল বিতরণ কান্ডে  আগাম জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু সেই মামলার শুনানির আগেই গ্রেফতার হন আসানসোলের বিজেপি নেতা। সেই মামলার রায়ে আপাতস্বস্তি পেলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর তাঁকে আর হেফাজতে রাখতে পারবে না পুলিশ। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে জামিনে মুক্তি পাবেন বিজেপি নেতা।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে চলে  জিতেন্দ্রর মামলার শুনানি।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী ২ সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে।

এর ফলে এই ২ সপ্তাহ তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। এর পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্টের  ডিভিশন বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে চৈতালি তিওয়ারির ওয়ার্ডে শিবচর্চা অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু মঞ্চ ছাড়তেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এলাকাবাসী ৩ জনের। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মামলায় চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকবার জিতেন্দ্রর ফ্ল্যাটে যান দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা।  কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে সহযোগিতার শর্তে চৈতালি তেওয়ারি কে  আইনী রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। তবে জিতেন্দ্র তেওয়ারির ক্ষেত্রে ছিলনা। তাই রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরসভার একদা মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে।