কালিয়াগঞ্জের নিহত নাবালিকার মামলায় সিট গঠন করল হাইকোর্ট

- আপডেট : ১১ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 73
পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চে কালিয়াগঞ্জ কিশোরী খুনের মামলায় তিন সদদ্যের সিট গঠন করল। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। সিট সেই ঘটনার তদন্ত করবে। সেই তদন্তকারী দলে থাকবেন রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, আইপিএস দময়ন্তী সেন ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
সিট যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে পারে’। তবে সিট কে সংবাদ মাধ্যমে এই মামলার বক্তব্য পেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা দাবি করেন, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কিশোরী।বৃহস্পতিবার
এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ”প্রচণ্ড চাপের মুখে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। তাই এই সিট গঠন।” সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ, -‘আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। তদন্ত করবে সিট। প্রয়োজন মনে করলে দ্বিতীয় ময়না তদন্ত করতে পারবে সিট’। বিচারপতি জানান, এই মামলার তদন্ত চলাকালীন বাইরে নিজেদের মত প্রকাশ করবেন না সিটের সদস্যরা। পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ, -‘কেস ডায়েরি এবং অন্যান্য নথি সিটকে দেবে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে রাজ্যকে সাহায্য করতে হবে। পরবর্তী শুনানির আগে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য’।
নিহত ছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও রাজ্য পুলিশে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থাফ। উল্লেখ্য , গত ২১ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার গঙ্গোয়ার পালইবাড়ি এলাকায় ওই নাবালিকার দেহ দেখা যায়। অভিযোগ ওঠে, ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করেছেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবক ও তাঁর ৪-৫ জন সঙ্গী।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে নিহত ছাত্রীর দেহ নিয়ে রাজ্য সড়কে অবরোধ, বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।অভিযোগ, কিশোরীর দেহ পরিবারের কাউকে না দিয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। নিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের অভিযোগও ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল নিহত নাবালিকার পরিবার। সেই মামলাতেই এই রায় দিলেন বিচারপতি মান্থার।আগামী ২৮ জুন এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।