অসুস্থ Governor CV Ananda Bose, হাসপাতালে দেখতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী
- আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
- / 207
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ অসুস্থ রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose)। সোমবার তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) হার্টে একাধিক ব্লকেজ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে রাজ্যপালকে দেখে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যপালকে কমান্ড হাসপাতাল থেকে অ্যাপোলোতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
জানা গেছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বুকে ব্যথা শুরু হলে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রাজ্যপালের (Governor CV Ananda Bose) হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লকেজ পাওয়া গেছে। তারই চিকিৎসা চলছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত সেখানে তিনি ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শালবনির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র: ‘বাংলার ঐতিহাসিক প্রকল্প’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে জিন্দালদের পাওয়ার প্লান্টের শিলান্যাস হওয়ার কথা। সেখানে যাওয়ার আগে রাজ্যপালকে (Governor CV Ananda Bose) দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপালকে দেখতে গিয়েছিলাম। উনি হঠাৎ করে ভর্তি হয়েছেন। শরীরটা খারাপ। যা হোক, দেখে এলাম। কাল প্রোগ্রাম করে ফিরে আসব।” জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যপালের চিকিৎসার বিষয়টি গোটাটাই যেন তিনি তদারকি করেন। যা প্রয়োজন তার যাবতীয় ব্যবস্থা যেন মুখ্যসচিব করেন। সেই অনুযায়ী মুখ্যসচিব বিষয়টি দেখভাল করছেন। রাজ্যপালের (Governor CV Ananda Bose) দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, শনিবার মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সামশেরগঞ্জ বেতবোনার বাসিন্দাদের একাংশ। প্ল্যাকার্ড হাতে চলে তুমুল বিক্ষোভ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ফিরে যান রাজ্যপাল। শোনেন বিক্ষোভকারীদের অভাব-অভিযোগ। ঘুরে দেখেন গ্রাম। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, “এটা হৃদয় বিদারক। যেটা ঘটা উচিত ছিল না, সেটাই ঘটেছে। তাঁদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। তাঁদেরকে নিরাপত্তা দিতে হবে। যাতে তাঁদের আতঙ্ক, ভয় কেটে যায়।”