১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবরাত্রিতে মাংসের দোকান বন্ধের দাবি বিজেপির, বিরোধিতায় ন্যাশনাল কনফারেন্স

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 191

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নবরাত্রিতে দিল্লি এবং জম্মু-কাশ্মীরে মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। এমনটাই দাবি তুলল বিজেপি নেতারা। আগামী ৩০ মার্চ নবরাত্রি। একই সময় ঈদও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নবরাত্রির কথা মাথায় রেখে মাংসের দোকান বন্ধ রাখার দাবি তুলেছে বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতাদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ। তবে ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিধায়ক তানভির সাদিক এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন।

আরও পড়ুন: গরমে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন আমের আচার, তবে এই বিষয়গুলো অবশ্যই নজর দেবেন

আরও পড়ুন: মন্ত্রীর স্বামীকে ‘বেধড়ক মার’, পুলিশের জালে ৪ বিজেপি কর্মী

দিল্লির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র নেগি এবং নীরজ বাসোয়া নবরাত্রির সময়ে মাংসের দোকান বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে জোরালো দাবি তুলেছেন। জম্মু-কাশ্মীরের একজন বিজেপি বিধায়কও এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। দিল্লির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র নেগি জানিয়েছেন, “নবরাত্রির সময় মন্দিরের সামনে মাংসের দোকান বসানো হয়। যা হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে। ঈদে শেওয়াইন খেতে পারেন, তবে ছাগল জবাই করার কোনও প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেন, “দিল্লিতে এই নির্দেশ জারি না হলেও  পাটপরগঞ্জ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রাখার চেষ্টা করবেন।”

আরও পড়ুন: ২০৩৪-এর আগে ‘এক দেশ এক ভোট’ সম্ভব নয়, জানালেন সংসদীয় কমিটির প্রধান

দিল্লির আরেক বিজপি বিধায়ক নীরজ বসোয়াও একই দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন- “নবরাত্রির সময় মাংসের দোকান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মাংসের দোকান আবাসিক এলাকায় থাকা উচিত নয়। এই মাংস বিক্রেতারা গুন্ডামি করে। আবাসিক এলাকায় মাংসের দোকান বন্ধ করার জন্য আমরা একটি চিঠি লিখব।”

আরও পড়ুন: জোড়া ইস্যুতে তপ্ত বিধানসভা! ওয়াকআউট বিজেপির

আবাসিক এলাকায় মাংসের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া উচিত নয় বলেও জানিয়েছেন বাসোয়া। সারা বছরই মাংসের দোকান বন্ধ রাখা পক্ষে তিনি। বিজেপি বিধায়কদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ বলেছেন, “আমাদের একে অপরের বিশ্বাসকে সম্মান করা উচিত। আমি নিজে মাংস খাই না। মাত্র ১০ দিনের জন্য যদি এটি এড়ানো হয় তাহলে সমস্যা কোথায়? এই অল্প সময়ের জন্য মুসলমানরা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকলে কারও কোনও ক্ষতি হবে না।”

জম্মু-কাশ্মীরেরর মন্ত্রী সতীশ শর্মা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, “জম্মু-কাশ্মীর একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য। এখানে মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে বাস করেন। জনগণের ওপর কোনও আদেশ চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং তাদের স্বেচ্ছায় এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।” ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিধায়ক তানভির সাদিক মাংসের দোকান বন্ধ করার বিপক্ষে। তিনি বলন, “কেমল ধর্মীয় কারণে মাংসের দোকান বন্ধ করা যাবে ন। রমজান চলছে। আমরা ধর্মীয় কারণে বিধানসভার ভিতরে রেস্তোরাঁ এবং ক্যান্টিন বন্ধ রাখার দাবি জানাইনি।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নবরাত্রিতে মাংসের দোকান বন্ধের দাবি বিজেপির, বিরোধিতায় ন্যাশনাল কনফারেন্স

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নবরাত্রিতে দিল্লি এবং জম্মু-কাশ্মীরে মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। এমনটাই দাবি তুলল বিজেপি নেতারা। আগামী ৩০ মার্চ নবরাত্রি। একই সময় ঈদও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নবরাত্রির কথা মাথায় রেখে মাংসের দোকান বন্ধ রাখার দাবি তুলেছে বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতাদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ। তবে ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিধায়ক তানভির সাদিক এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন।

আরও পড়ুন: গরমে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন আমের আচার, তবে এই বিষয়গুলো অবশ্যই নজর দেবেন

আরও পড়ুন: মন্ত্রীর স্বামীকে ‘বেধড়ক মার’, পুলিশের জালে ৪ বিজেপি কর্মী

দিল্লির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র নেগি এবং নীরজ বাসোয়া নবরাত্রির সময়ে মাংসের দোকান বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে জোরালো দাবি তুলেছেন। জম্মু-কাশ্মীরের একজন বিজেপি বিধায়কও এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। দিল্লির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র নেগি জানিয়েছেন, “নবরাত্রির সময় মন্দিরের সামনে মাংসের দোকান বসানো হয়। যা হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে। ঈদে শেওয়াইন খেতে পারেন, তবে ছাগল জবাই করার কোনও প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেন, “দিল্লিতে এই নির্দেশ জারি না হলেও  পাটপরগঞ্জ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রাখার চেষ্টা করবেন।”

আরও পড়ুন: ২০৩৪-এর আগে ‘এক দেশ এক ভোট’ সম্ভব নয়, জানালেন সংসদীয় কমিটির প্রধান

দিল্লির আরেক বিজপি বিধায়ক নীরজ বসোয়াও একই দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন- “নবরাত্রির সময় মাংসের দোকান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মাংসের দোকান আবাসিক এলাকায় থাকা উচিত নয়। এই মাংস বিক্রেতারা গুন্ডামি করে। আবাসিক এলাকায় মাংসের দোকান বন্ধ করার জন্য আমরা একটি চিঠি লিখব।”

আরও পড়ুন: জোড়া ইস্যুতে তপ্ত বিধানসভা! ওয়াকআউট বিজেপির

আবাসিক এলাকায় মাংসের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া উচিত নয় বলেও জানিয়েছেন বাসোয়া। সারা বছরই মাংসের দোকান বন্ধ রাখা পক্ষে তিনি। বিজেপি বিধায়কদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ বলেছেন, “আমাদের একে অপরের বিশ্বাসকে সম্মান করা উচিত। আমি নিজে মাংস খাই না। মাত্র ১০ দিনের জন্য যদি এটি এড়ানো হয় তাহলে সমস্যা কোথায়? এই অল্প সময়ের জন্য মুসলমানরা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকলে কারও কোনও ক্ষতি হবে না।”

জম্মু-কাশ্মীরেরর মন্ত্রী সতীশ শর্মা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, “জম্মু-কাশ্মীর একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য। এখানে মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে বাস করেন। জনগণের ওপর কোনও আদেশ চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং তাদের স্বেচ্ছায় এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।” ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিধায়ক তানভির সাদিক মাংসের দোকান বন্ধ করার বিপক্ষে। তিনি বলন, “কেমল ধর্মীয় কারণে মাংসের দোকান বন্ধ করা যাবে ন। রমজান চলছে। আমরা ধর্মীয় কারণে বিধানসভার ভিতরে রেস্তোরাঁ এবং ক্যান্টিন বন্ধ রাখার দাবি জানাইনি।”