১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিভ-ইন সম্পর্ক ভাঙলে নারীর জীবন দুর্বিষহ হয় : ইলাহাবাদ হাইকোর্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 121

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারতে লিভ-ইন সম্পর্ক ভাঙার পর একজন মহিলার পক্ষে টিকে থাকা দুর্বিষহ হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করেন বিচারপতি সিদ্ধার্থ।

একজন মহিলা প্রায় ১ বছর ধরে এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সম্পর্কের শুরুতে ওই ব্যক্তি কথা দেন যে তিনি ওই মহিলাকে বিয়ে করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়েই ওই মহিলা এফআইআর দায়ের করে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণ ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করে গত বছর নভেম্বরে। তখন থেকেই তিনি কারাবাস করছেন। বিচারপতি ওই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করলেও এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, লিভ-ইন সম্পর্ক ভাঙার পর একজন মহিলার পক্ষে একা থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতে লিভ-ইন এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ মেনে নেয় না বলেই লিভ-ইন সম্পর্কের এমন পরিণতি হলে কোনো মহিলার পক্ষে এফআইআর দায়ের করা ছাড়া অন্য কোনো পথ থাকে না।

প্রসঙ্গত, ওই মহিলার আগেও বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাঙার পর সে অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। মহিলার দুই সন্তানও রয়েছে। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাকালীন অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে অভিযুক্ত।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লিভ-ইন সম্পর্ক ভাঙলে নারীর জীবন দুর্বিষহ হয় : ইলাহাবাদ হাইকোর্ট

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভারতে লিভ-ইন সম্পর্ক ভাঙার পর একজন মহিলার পক্ষে টিকে থাকা দুর্বিষহ হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করেন বিচারপতি সিদ্ধার্থ।

একজন মহিলা প্রায় ১ বছর ধরে এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সম্পর্কের শুরুতে ওই ব্যক্তি কথা দেন যে তিনি ওই মহিলাকে বিয়ে করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়েই ওই মহিলা এফআইআর দায়ের করে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণ ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করে গত বছর নভেম্বরে। তখন থেকেই তিনি কারাবাস করছেন। বিচারপতি ওই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করলেও এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, লিভ-ইন সম্পর্ক ভাঙার পর একজন মহিলার পক্ষে একা থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতে লিভ-ইন এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ মেনে নেয় না বলেই লিভ-ইন সম্পর্কের এমন পরিণতি হলে কোনো মহিলার পক্ষে এফআইআর দায়ের করা ছাড়া অন্য কোনো পথ থাকে না।

প্রসঙ্গত, ওই মহিলার আগেও বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাঙার পর সে অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। মহিলার দুই সন্তানও রয়েছে। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাকালীন অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে অভিযুক্ত।