২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিনে রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে , ২১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 112

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ চিনে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএফ.৭’-এর থাবায় রেকর্ড হারে সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিদিন দেশটিতে নতুন করে ১০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে অন্তত ৫ হাজার জনের। এয়ারফিনিটি লিমিটেড নামক লন্ডনের এক বিশ্লেষক সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আগামীতে চিনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

 

আরও পড়ুন: চিনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক ট্রাম্পের

নয়া বছরে চিনে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৩০ লক্ষেরও বেশি। দুই মাস পর এ সংখ্যা ৪০ লক্ষ অতিক্রম করতে পারে। এয়ারফিনিটি এও জানিয়েছে, এ দফায় চিনে করোনার কারণে ১৩ লক্ষ থেকে ২১ লক্ষ লোকের মৃত্যু হতে পারে। তবে চিন সরকারিভাবে যে তথ্য প্রকাশ করছে, তাতে দেখা গেছে, দেশটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে মাত্র ২,৯৬৬ জন। এ সময় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বেজিং।

আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান চিনের

 

আরও পড়ুন: শুল্কযুদ্ধে টানাপোড়েনের মধ্যেই শি জিনপিঙের সঙ্গে ফোনে কথা ট্রাম্পের, যাচ্ছেন চিন 

অথচ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর যেসব খবর ও ছবি আসছে, তাতে দেখা গেছে, চিনের কয়েকটি হাসপাতালে তিল ধারনের জায়গা নেই। শ্মশানেও লম্বা লাইন। দুই বছর আগে ইউরোপ ও আমেরিকায় যেমন চিত্র দেখা গিয়েছিল, এখন সে চিত্র দেখা যাচ্ছে চিনে। করোনা মোকাবিলায় ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকেই ‘জিরো কোভিড নীতি’ নিয়েছিল শি জিনপিং সরকার। তাতে সুফলও মিলেছিল বেশ। তবে কঠোর বিধিনিষেধে অতিষ্ঠ নাগরিকদের ক্ষোভের কাছে নতি স্বীকার করে এই মাসের শুরুর দিকেই পিছু হটে চিন সরকার।

 

তখন থেকেই করোনার সংক্রমণ বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এর প্রভাব পড়েছে। সেখানেও দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেখানে আবারও মাস্ক ফিরিয়ে আনার কথা চলছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনে প্রথম করোনা সংক্রমণের কথা শোনা যায়।

 

চিন তখন সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এ মহামারি। এ পর্যন্ত করোনায় বিশ্বজুড়ে ৬৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৬২০ জন মারা গেছে। মনে করা হচ্ছিল, ভ্যাকসিনের জোরে করোনা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু যেভাবে আবারও চিনে করোনা আঘাত হানছে, তাতে বিশ্বজুড়ে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিনে রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে , ২১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে!

আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ চিনে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএফ.৭’-এর থাবায় রেকর্ড হারে সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিদিন দেশটিতে নতুন করে ১০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে অন্তত ৫ হাজার জনের। এয়ারফিনিটি লিমিটেড নামক লন্ডনের এক বিশ্লেষক সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আগামীতে চিনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

 

আরও পড়ুন: চিনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক ট্রাম্পের

নয়া বছরে চিনে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৩০ লক্ষেরও বেশি। দুই মাস পর এ সংখ্যা ৪০ লক্ষ অতিক্রম করতে পারে। এয়ারফিনিটি এও জানিয়েছে, এ দফায় চিনে করোনার কারণে ১৩ লক্ষ থেকে ২১ লক্ষ লোকের মৃত্যু হতে পারে। তবে চিন সরকারিভাবে যে তথ্য প্রকাশ করছে, তাতে দেখা গেছে, দেশটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে মাত্র ২,৯৬৬ জন। এ সময় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বেজিং।

আরও পড়ুন: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান চিনের

 

আরও পড়ুন: শুল্কযুদ্ধে টানাপোড়েনের মধ্যেই শি জিনপিঙের সঙ্গে ফোনে কথা ট্রাম্পের, যাচ্ছেন চিন 

অথচ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর যেসব খবর ও ছবি আসছে, তাতে দেখা গেছে, চিনের কয়েকটি হাসপাতালে তিল ধারনের জায়গা নেই। শ্মশানেও লম্বা লাইন। দুই বছর আগে ইউরোপ ও আমেরিকায় যেমন চিত্র দেখা গিয়েছিল, এখন সে চিত্র দেখা যাচ্ছে চিনে। করোনা মোকাবিলায় ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকেই ‘জিরো কোভিড নীতি’ নিয়েছিল শি জিনপিং সরকার। তাতে সুফলও মিলেছিল বেশ। তবে কঠোর বিধিনিষেধে অতিষ্ঠ নাগরিকদের ক্ষোভের কাছে নতি স্বীকার করে এই মাসের শুরুর দিকেই পিছু হটে চিন সরকার।

 

তখন থেকেই করোনার সংক্রমণ বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এর প্রভাব পড়েছে। সেখানেও দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেখানে আবারও মাস্ক ফিরিয়ে আনার কথা চলছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনে প্রথম করোনা সংক্রমণের কথা শোনা যায়।

 

চিন তখন সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এ মহামারি। এ পর্যন্ত করোনায় বিশ্বজুড়ে ৬৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৬২০ জন মারা গেছে। মনে করা হচ্ছিল, ভ্যাকসিনের জোরে করোনা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু যেভাবে আবারও চিনে করোনা আঘাত হানছে, তাতে বিশ্বজুড়ে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।