১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 35

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মানি লন্ডারিং মামলায় বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের নামে চার্জশিট দাখিল করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। বরাবরই মোদি সরকার ও বিজেপি ঘোর সমালোচক রানা। অভিযোগ কোভিড-১৯ মহামারির ত্রাণ, দান-সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের জন্য জনগণের কাছ থেকে এই তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে ২.৬৯ কোটি টাকা সংগৃহীত হয়েছিল। তবে, এই অর্থের বেশিরভাগই তিনি নিজের ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করেছিলেন বলে অভিযোগ ইডির।

 

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এই মামলার তদন্তের স্বার্থে রানা আয়ুবের সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়েছিল।
ইডির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা আয়ুব। তিনি আগেই বলেছেন, ‘আমার অন্য ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কোনও বিদেশি অনুদান ছিল না। কারণ সমস্ত অনুদান প্রথমে কেটোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল।

আরও পড়ুন: ভুয়ো ভোটার কার্ড দেখিয়েই কি তৈরি হচ্ছে পাসপোর্ট, সিইও-র কাছে তথ্য চাইল ইডি

আমি কেট্টো সংস্থাকে বলেছিলাম ত্রাণ অভিযানের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রাপ্ত অনুদান গ্রহণ করতে।

আরও পড়ুন: ইডির হাতে গ্রেফতার গুজরাত সমাচারের মালিক বাহুবলী শাহ

বিদেশি মুদ্রায় প্রাপ্ত যেকোনও অর্থ, দাতাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া ছিল। ত্রাণ অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছ শুধুমাত্র দেশীয় অনুদানই।’

গত ১২ অক্টোবর একটি মামলা রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে লাগু হয়। সেই মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ‘কেট্টো’র হাত ধরে রানা আয়ুব প্রচুর পরিমাণ অর্থ জন সাধারণের থেকে অবৈধ পথে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইডির দাবি, রানা আয়ুব সাহায্যের নাম করে ওই টাকা অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। ইডির চার্জশিট বলছে, শুধুমাত্র প্রতারণার জন্যই রানা আয়ুব ওই টাকা নিতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও এফডি সংক্রান্ত নানান বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ ইডির।

ইডি জানিয়েছে, সংগৃহীত অর্থের ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছিলেন। আরও ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন একটি নতুন অ্যাকাউন্টে। আর মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন সামাজিক কাজে। এর আগে ইডি জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং পিএমকেয়ার্স তহবিলে রানা আয়ুব ৭৪.৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মানি লন্ডারিং মামলায় বিশিষ্ট সাংবাদিক রানা আয়ুবের নামে চার্জশিট দাখিল করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। বরাবরই মোদি সরকার ও বিজেপি ঘোর সমালোচক রানা। অভিযোগ কোভিড-১৯ মহামারির ত্রাণ, দান-সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের জন্য জনগণের কাছ থেকে এই তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে ২.৬৯ কোটি টাকা সংগৃহীত হয়েছিল। তবে, এই অর্থের বেশিরভাগই তিনি নিজের ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করেছিলেন বলে অভিযোগ ইডির।

 

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এই মামলার তদন্তের স্বার্থে রানা আয়ুবের সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়েছিল।
ইডির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা আয়ুব। তিনি আগেই বলেছেন, ‘আমার অন্য ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কোনও বিদেশি অনুদান ছিল না। কারণ সমস্ত অনুদান প্রথমে কেটোর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ছিল।

আরও পড়ুন: ভুয়ো ভোটার কার্ড দেখিয়েই কি তৈরি হচ্ছে পাসপোর্ট, সিইও-র কাছে তথ্য চাইল ইডি

আমি কেট্টো সংস্থাকে বলেছিলাম ত্রাণ অভিযানের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রাপ্ত অনুদান গ্রহণ করতে।

আরও পড়ুন: ইডির হাতে গ্রেফতার গুজরাত সমাচারের মালিক বাহুবলী শাহ

বিদেশি মুদ্রায় প্রাপ্ত যেকোনও অর্থ, দাতাকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া ছিল। ত্রাণ অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছ শুধুমাত্র দেশীয় অনুদানই।’

গত ১২ অক্টোবর একটি মামলা রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে লাগু হয়। সেই মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ‘কেট্টো’র হাত ধরে রানা আয়ুব প্রচুর পরিমাণ অর্থ জন সাধারণের থেকে অবৈধ পথে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইডির দাবি, রানা আয়ুব সাহায্যের নাম করে ওই টাকা অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। ইডির চার্জশিট বলছে, শুধুমাত্র প্রতারণার জন্যই রানা আয়ুব ওই টাকা নিতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও এফডি সংক্রান্ত নানান বিষয় তুলে ধরে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ ইডির।

ইডি জানিয়েছে, সংগৃহীত অর্থের ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছিলেন। আরও ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন একটি নতুন অ্যাকাউন্টে। আর মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা ব্যবহার করেছিলেন সামাজিক কাজে। এর আগে ইডি জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং পিএমকেয়ার্স তহবিলে রানা আয়ুব ৭৪.৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন।