১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এল সালভাদরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের নির্দেশ!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, রবিবার
  • / 23

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  এল সালভাদরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আলফ্রেডো ক্রিস্টিয়ানিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির এক আদালত। আলফ্রেডোর বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালে ছয়জন ধর্মযাজকের হত্যাকাণ্ডে যোগ ও সেনাবাহিনী কর্তৃক অন্য দু’জনকে হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনজীবীদের অভিযোগ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ানি আলফ্রেডো ধর্মযাজকদের অপসারণে সামরিক পরিকল্পনার কথা জানতেন, তবে তা বাধা দিতে কোনও পদক্ষেপ নেননি।

 

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশ্ন, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

এক বিবৃতিতে ক্রিস্টিয়ানি’র কন্যা জানান, তাঁর পিতা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ক্রিস্টিয়ানি বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’সত্যিই হল, তারা যে হত্যার এসব পরিকল্পনা নিয়েছিল সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। তারা আমাকে জানায়নি বা কোনও অনুমতি নেয়নি, কারণ তারা জানত আমি কখনোই ফাদার ইগনাসিও এলাকুরিয়া বা তার ভাইদের কোনও ক্ষতি করার অনুমোদন দেব না।’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ানি ও প্রাক্তন আইনপ্রণেতা রডলফো পার্কারকে মঙ্গলবার আদালতে তলব করা হলেও তারা আসেননি।

আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজারে বিধ্বংসী আগুনে ১৫ জনের মৃত্যু, শোকপ্রকাশ মুর্মুর

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

২০২১ সালের জুন মাসে প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত অর্থপ্রদান সম্পর্কিত তদন্তের ব্যাপারে কংগ্রেসের প্যানেলের মুখোমুখি হওয়ার পর ক্রিস্টিয়ানি এল সালভাদর ত্যাগ করেন। আইনজীবীরা ধর্মযাজক হত্যার মামলাটি পুনরায় শুরু করলে জানা যায় ক্রিস্টিয়ানি ইতালিতে রয়েছেন। তবে এখনও তিনি সেখানে রয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। ১৯৮৯ সালের ১৬ নভেম্বর দুর্ধর্ষ একটি কমান্ডো ইউনিট ছয়জন ধর্মযাজক, পাঁচজন স্পেনের নাগরিক ও একজন সালভাদরের নাগরিককে হত্যা করে, এছাড়াও হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের গৃহকর্মী ও যাজকদের বাড়িতে থাকা গৃহকর্মীর কন্যা। আদালত তার রায়ে এই হত্যাকাণ্ডকে ‍‌‌‌‌‌‌’রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করে এবং আরও জানায়, ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও অবস্থানের সুযোগ নিতে ক্রিস্টিয়ানিসহ শক্তিশালী দল এই হামলা পরিচালনা করেছে’।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এল সালভাদরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের নির্দেশ!

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  এল সালভাদরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আলফ্রেডো ক্রিস্টিয়ানিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির এক আদালত। আলফ্রেডোর বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালে ছয়জন ধর্মযাজকের হত্যাকাণ্ডে যোগ ও সেনাবাহিনী কর্তৃক অন্য দু’জনকে হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনজীবীদের অভিযোগ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ানি আলফ্রেডো ধর্মযাজকদের অপসারণে সামরিক পরিকল্পনার কথা জানতেন, তবে তা বাধা দিতে কোনও পদক্ষেপ নেননি।

 

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশ্ন, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

এক বিবৃতিতে ক্রিস্টিয়ানি’র কন্যা জানান, তাঁর পিতা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ক্রিস্টিয়ানি বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’সত্যিই হল, তারা যে হত্যার এসব পরিকল্পনা নিয়েছিল সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। তারা আমাকে জানায়নি বা কোনও অনুমতি নেয়নি, কারণ তারা জানত আমি কখনোই ফাদার ইগনাসিও এলাকুরিয়া বা তার ভাইদের কোনও ক্ষতি করার অনুমোদন দেব না।’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ানি ও প্রাক্তন আইনপ্রণেতা রডলফো পার্কারকে মঙ্গলবার আদালতে তলব করা হলেও তারা আসেননি।

আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজারে বিধ্বংসী আগুনে ১৫ জনের মৃত্যু, শোকপ্রকাশ মুর্মুর

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

২০২১ সালের জুন মাসে প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত অর্থপ্রদান সম্পর্কিত তদন্তের ব্যাপারে কংগ্রেসের প্যানেলের মুখোমুখি হওয়ার পর ক্রিস্টিয়ানি এল সালভাদর ত্যাগ করেন। আইনজীবীরা ধর্মযাজক হত্যার মামলাটি পুনরায় শুরু করলে জানা যায় ক্রিস্টিয়ানি ইতালিতে রয়েছেন। তবে এখনও তিনি সেখানে রয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। ১৯৮৯ সালের ১৬ নভেম্বর দুর্ধর্ষ একটি কমান্ডো ইউনিট ছয়জন ধর্মযাজক, পাঁচজন স্পেনের নাগরিক ও একজন সালভাদরের নাগরিককে হত্যা করে, এছাড়াও হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের গৃহকর্মী ও যাজকদের বাড়িতে থাকা গৃহকর্মীর কন্যা। আদালত তার রায়ে এই হত্যাকাণ্ডকে ‍‌‌‌‌‌‌’রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করে এবং আরও জানায়, ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও অবস্থানের সুযোগ নিতে ক্রিস্টিয়ানিসহ শক্তিশালী দল এই হামলা পরিচালনা করেছে’।