১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারী ও অর্থের রোগ না সারালে বাংলায় বিজেপির মৃত্যু আসন্ন, বঙ্গ নেতৃত্বকে ফের বিঁধলেন তথাগত

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১৫ জানুয়ারী ২০২২, শনিবার
  • / 20

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :  ‘নারী ও অর্থের অসুখ না সারালে বাংলায় বিজেপির মৃত্যু আসন্ন’, এদিন ফের বঙ্গ বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এর আগেও একাধিকবার রাজ্য বিজেপিকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই বর্ষীয়ান নেতা।

বিজেপি সূত্রে খবর, আজ, শনিবার এক ছাতার তলায় আসতে পারেন বঙ্গ–বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবির। পোর্ট ট্রাস্টের অতিথিশালায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করার কথা এই বিক্ষুব্ধ নেতাদের। তার আগে তথাগত রায় টুইট করে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে কার্যত খোঁচা দিলেন।

আরও পড়ুন: হাওয়াই চটি এত পছন্দ হলে দোকান খুলুন- বিধানসভায় নাম না করে সুকান্তকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

ঠিক কী লিখেছেন তিনি?‌ এদিন তিনি লেখেন, ‘শুশ্রূষা না করে লুকিয়ে রাখলে রোগ সারে না। বরং রোগীর মৃত্যু হয়। রোগের সূত্রপাত অর্থ এবং নারীচক্রের সংসর্গ থেকে। বিধানসভা নির্বাচনের জঘন্য ফলের পরও কোনও শুদ্ধিকরণ হয়নি। বাংলায় কি বিজেপির মৃত্যু হতে চলেছে?’

আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দুকে মহেশতলা যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি-র নতুন পদাধিকারী মণ্ডলী এবং জেলা সভাপতিদের মধ্যে মতুয়া প্রতিনিধিত্ব না থাকায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু-সহ কয়েক জন মতুয়া বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, পদাধিকারী মণ্ডলীতে অধিকাংশ পুরনো নেতা বাদ পড়ায় বিজেপি-র একাংশ ‘ক্ষুব্ধ’। তাঁরা দলের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত বিধানসভা, সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও

এই নিয়ে যখন বিজেপি-র অন্দরে তোলপাড়, তখন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে দলের সব ডিপার্টমেন্ট এবং সেল ভেঙে দেওয়া হয়। যা নিয়েও নয়া বিতর্ক শুরু হয়। দলীয় ডামাডোলের মধ্যে ফের দলকে বিঁধলেন তথাগত।

এই টুইটে দলের অন্দরে প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। কারণ এই বিক্ষুব্ধ নেতাদের এক ছাতার তলায় আসা আটকাতে পারছেন না সুকান্ত–শুভেন্দুরা। ইতিমধ্যেই সব সেল ভেঙে দিতে হয়েছে। তারপরও সমস্যা মিটছে না। একইসঙ্গে দেখা দিয়েছে আদি–নব্য দ্বন্দ্ব। ‘ক্ষুব্ধ’ দলের বিধায়ক–সাংসদরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে যাচ্ছেন।

ইতিমধ্যেই কযেকজন বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কর্ট্রোল করা যাচ্ছে না। বিরোধী দলনেতাও কোনও সাফল্য এনে দিতে পারছে না। রাজ্যে বাকি পুরসভা নির্বাচনগুলি নিয়ে কোনও দিশা নেই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নারী ও অর্থের রোগ না সারালে বাংলায় বিজেপির মৃত্যু আসন্ন, বঙ্গ নেতৃত্বকে ফের বিঁধলেন তথাগত

আপডেট : ১৫ জানুয়ারী ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :  ‘নারী ও অর্থের অসুখ না সারালে বাংলায় বিজেপির মৃত্যু আসন্ন’, এদিন ফের বঙ্গ বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এর আগেও একাধিকবার রাজ্য বিজেপিকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই বর্ষীয়ান নেতা।

বিজেপি সূত্রে খবর, আজ, শনিবার এক ছাতার তলায় আসতে পারেন বঙ্গ–বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবির। পোর্ট ট্রাস্টের অতিথিশালায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করার কথা এই বিক্ষুব্ধ নেতাদের। তার আগে তথাগত রায় টুইট করে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে কার্যত খোঁচা দিলেন।

আরও পড়ুন: হাওয়াই চটি এত পছন্দ হলে দোকান খুলুন- বিধানসভায় নাম না করে সুকান্তকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

ঠিক কী লিখেছেন তিনি?‌ এদিন তিনি লেখেন, ‘শুশ্রূষা না করে লুকিয়ে রাখলে রোগ সারে না। বরং রোগীর মৃত্যু হয়। রোগের সূত্রপাত অর্থ এবং নারীচক্রের সংসর্গ থেকে। বিধানসভা নির্বাচনের জঘন্য ফলের পরও কোনও শুদ্ধিকরণ হয়নি। বাংলায় কি বিজেপির মৃত্যু হতে চলেছে?’

আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দুকে মহেশতলা যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি-র নতুন পদাধিকারী মণ্ডলী এবং জেলা সভাপতিদের মধ্যে মতুয়া প্রতিনিধিত্ব না থাকায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু-সহ কয়েক জন মতুয়া বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, পদাধিকারী মণ্ডলীতে অধিকাংশ পুরনো নেতা বাদ পড়ায় বিজেপি-র একাংশ ‘ক্ষুব্ধ’। তাঁরা দলের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত বিধানসভা, সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও

এই নিয়ে যখন বিজেপি-র অন্দরে তোলপাড়, তখন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে দলের সব ডিপার্টমেন্ট এবং সেল ভেঙে দেওয়া হয়। যা নিয়েও নয়া বিতর্ক শুরু হয়। দলীয় ডামাডোলের মধ্যে ফের দলকে বিঁধলেন তথাগত।

এই টুইটে দলের অন্দরে প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। কারণ এই বিক্ষুব্ধ নেতাদের এক ছাতার তলায় আসা আটকাতে পারছেন না সুকান্ত–শুভেন্দুরা। ইতিমধ্যেই সব সেল ভেঙে দিতে হয়েছে। তারপরও সমস্যা মিটছে না। একইসঙ্গে দেখা দিয়েছে আদি–নব্য দ্বন্দ্ব। ‘ক্ষুব্ধ’ দলের বিধায়ক–সাংসদরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে যাচ্ছেন।

ইতিমধ্যেই কযেকজন বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কর্ট্রোল করা যাচ্ছে না। বিরোধী দলনেতাও কোনও সাফল্য এনে দিতে পারছে না। রাজ্যে বাকি পুরসভা নির্বাচনগুলি নিয়ে কোনও দিশা নেই।