০৮ জুন ২০২৫, রবিবার, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেন ওমর আবদুল্লাহ

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 16

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে কাশ্মীরের প্রথম ট্রেন পরিষেবা সূচনার মঞ্চে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন।

শ্রীমাতা বৈষ্ণদেবীর পবিত্র ভূমি কাটরায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ বলেন, “এই মঞ্চে উপস্থিত চারজন ২০১৪ সালে কাটরা রেল স্টেশনের উদ্বোধনেও ছিলেন। আপনি তখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখনকার প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং উপস্থিত ছিলেন, আমাদের বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহজিও তখন রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এবং আমি ছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

আরও পড়ুন: দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বৈঠক

তিনি আরও বলেন, “মাতার আশীর্বাদে সিংহজি এখন উঁচু পদে গিয়েছেন, আর আমি নিচে। আমি এক সময় একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, আর এখন একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী। তবে আমি বিশ্বাস করি, এই ভুল খুব তাড়াতাড়ি শুধরে নেওয়া হবে… জম্মু ও কাশ্মীর আবারও রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে — এবং তা আপনার (মোদীর) শাসনকালেই।”

আরও পড়ুন: Pahalgam terror attack: হামলার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ক্ষমা চাইলেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়— জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।

আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে ভোট করার সাহস নেই মোদি সরকারের : ওমর

কাশ্মীরে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়াকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ বলেন, “অনেকের স্বপ্ন ছিল কাশ্মীরে ট্রেন আসবে। এমনকি ব্রিটিশরাও চেয়েছিল কাশ্মীরকে রেলপথে যুক্ত করতে, কিন্তু তা পারেনি। তারা উরি থেকে ঝিলম নদীর ধারে রেল নিয়ে এসে গোটা দেশের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল। যা ব্রিটিশরা পারেনি, আপনি (মোদী) তা করে দেখিয়েছেন — কাশ্মীর আজ দেশের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত।”

তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকেও শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আমি তাঁকে ধন্যবাদ না দিলে তা হবে বড় ভুল। এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৮৩-৮৪ সালে, কিন্তু তখন তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাজপেয়ীজি একে ‘জাতীয় গুরুত্বের প্রকল্প’ হিসেবে ঘোষণা করে বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন, যার ফলে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেন ওমর আবদুল্লাহ

আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে কাশ্মীরের প্রথম ট্রেন পরিষেবা সূচনার মঞ্চে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন।

শ্রীমাতা বৈষ্ণদেবীর পবিত্র ভূমি কাটরায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ বলেন, “এই মঞ্চে উপস্থিত চারজন ২০১৪ সালে কাটরা রেল স্টেশনের উদ্বোধনেও ছিলেন। আপনি তখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখনকার প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং উপস্থিত ছিলেন, আমাদের বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহজিও তখন রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এবং আমি ছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

আরও পড়ুন: দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বৈঠক

তিনি আরও বলেন, “মাতার আশীর্বাদে সিংহজি এখন উঁচু পদে গিয়েছেন, আর আমি নিচে। আমি এক সময় একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, আর এখন একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী। তবে আমি বিশ্বাস করি, এই ভুল খুব তাড়াতাড়ি শুধরে নেওয়া হবে… জম্মু ও কাশ্মীর আবারও রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে — এবং তা আপনার (মোদীর) শাসনকালেই।”

আরও পড়ুন: Pahalgam terror attack: হামলার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ক্ষমা চাইলেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়— জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।

আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে ভোট করার সাহস নেই মোদি সরকারের : ওমর

কাশ্মীরে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়াকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ বলেন, “অনেকের স্বপ্ন ছিল কাশ্মীরে ট্রেন আসবে। এমনকি ব্রিটিশরাও চেয়েছিল কাশ্মীরকে রেলপথে যুক্ত করতে, কিন্তু তা পারেনি। তারা উরি থেকে ঝিলম নদীর ধারে রেল নিয়ে এসে গোটা দেশের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল। যা ব্রিটিশরা পারেনি, আপনি (মোদী) তা করে দেখিয়েছেন — কাশ্মীর আজ দেশের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত।”

তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকেও শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আমি তাঁকে ধন্যবাদ না দিলে তা হবে বড় ভুল। এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৮৩-৮৪ সালে, কিন্তু তখন তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাজপেয়ীজি একে ‘জাতীয় গুরুত্বের প্রকল্প’ হিসেবে ঘোষণা করে বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন, যার ফলে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়।”