১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণঃ জনস্বার্থ মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 30

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দেশে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। অবিলম্বে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন করা দরকার। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে আদেশ দিক আইন প্রণয়ন করার জন্য।মূলত এই দাবি নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। শুক্রবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিযেছে, আইন করার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব সরকারের।

 

আরও পড়ুন: ভারতের সংবিধানই এই অস্পৃশ্যকে সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছে : গাভাই

একইভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি দেখতে হবে সরকারকেই। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে আইন করতে নির্দেশ দেওয়া আদালতের কাজ নয়। আদালত এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। আইনজীবী তাঁর পিটিশনে বলেছেন, দেশে জন বিস্ফোরণ হচ্ছে। দেশে জমি রয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। আর জনসংখ্যা বিশ্বের ২০ শতাংশ। তাই এই বিপুল হারে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে জমি-বাসস্থানের সংকট দেখা দেবে।

আরও পড়ুন: ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে, কমেছে জন্মহার 

 

আরও পড়ুন: ৩ আগস্ট নিট পিজি পরীক্ষা নিতে নির্দেশ শীর্ষ কোর্টের

প্রত্যেকের থাকার জায়গা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে তাই ২ সন্তান নীতির লপথে হাঁটা উচিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে দুই সন্তান নীতি প্রণয়ন করা হোক। আর এই মর্মে আইন আনতে কেন্দ্রীয় সরকার ও আইন কমিশনকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শুনানি চলাকালীন বেশ কিছুক্ষণ সওয়াল-জবাবের পর আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের করা পিটিশনটি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কউল ও বিচারপতি এ এস অকার বেঞ্চ পিটিশনটি খারিজ করে দিয়ে বলে, হটাৎ করে একদিন এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাবে এমনটা কখনও হতে পারে না। সেক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কীভাবে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া যায়? আবেদনকারী আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালতের প্রশ্ন, সব বিষয়েই কি আদালতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে? পিটিশনের নেপথ্যে ন্যূনতম যুক্তি তো থাকতে হবে। আইন প্রণয়ন করা সরকারের কাজ।

 

সুপ্রিম কোর্টের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল,নাগরিকদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জোর করে হস্তক্ষেপ করার পক্ষে নয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাখ্যা ছিল, এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধি-নিষেধ আরোপ করলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। এদিন শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সেই পর্যবেক্ষণের বিষয়টিও উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণঃ জনস্বার্থ মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ দেশে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। অবিলম্বে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন করা দরকার। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে আদেশ দিক আইন প্রণয়ন করার জন্য।মূলত এই দাবি নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। শুক্রবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিযেছে, আইন করার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব সরকারের।

 

আরও পড়ুন: ভারতের সংবিধানই এই অস্পৃশ্যকে সর্বোচ্চ পদে বসিয়েছে : গাভাই

একইভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি দেখতে হবে সরকারকেই। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে আইন করতে নির্দেশ দেওয়া আদালতের কাজ নয়। আদালত এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। আইনজীবী তাঁর পিটিশনে বলেছেন, দেশে জন বিস্ফোরণ হচ্ছে। দেশে জমি রয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। আর জনসংখ্যা বিশ্বের ২০ শতাংশ। তাই এই বিপুল হারে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে জমি-বাসস্থানের সংকট দেখা দেবে।

আরও পড়ুন: ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে, কমেছে জন্মহার 

 

আরও পড়ুন: ৩ আগস্ট নিট পিজি পরীক্ষা নিতে নির্দেশ শীর্ষ কোর্টের

প্রত্যেকের থাকার জায়গা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে তাই ২ সন্তান নীতির লপথে হাঁটা উচিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে দুই সন্তান নীতি প্রণয়ন করা হোক। আর এই মর্মে আইন আনতে কেন্দ্রীয় সরকার ও আইন কমিশনকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শুনানি চলাকালীন বেশ কিছুক্ষণ সওয়াল-জবাবের পর আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের করা পিটিশনটি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কউল ও বিচারপতি এ এস অকার বেঞ্চ পিটিশনটি খারিজ করে দিয়ে বলে, হটাৎ করে একদিন এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে যাবে এমনটা কখনও হতে পারে না। সেক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কীভাবে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া যায়? আবেদনকারী আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালতের প্রশ্ন, সব বিষয়েই কি আদালতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে? পিটিশনের নেপথ্যে ন্যূনতম যুক্তি তো থাকতে হবে। আইন প্রণয়ন করা সরকারের কাজ।

 

সুপ্রিম কোর্টের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল,নাগরিকদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জোর করে হস্তক্ষেপ করার পক্ষে নয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাখ্যা ছিল, এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধি-নিষেধ আরোপ করলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। এদিন শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সেই পর্যবেক্ষণের বিষয়টিও উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত।