১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে ক্ষয়ক্ষতি ১০৯টি বাড়িতে, দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্গঠনের নির্দেশ নবান্নের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
  • / 314

মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তির জেরে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক সমীক্ষা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। শনিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিভিন্ন জেলার জেলা ও অতিরিক্ত জেলাশাসক, পঞ্চায়েত ও অন্যান্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের জেলা প্রশাসনের তরফে মুখ্যসচিবকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, অশান্তির জেরে সূতি ও ধুলিয়ান মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১০৯টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ঘোষণা করেছেন; অশান্তিতে মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও, দোকানপাটের ক্ষতি হলে তারও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন: হাজারও মুসল্লির ঢল, উৎসবের আবহে ঈদ-উল-আযহা’র নামায সম্পন্ন লোহরপুর ঈদগাহ ময়দানে

বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যাঁরা আপাতত বিভিন্ন ত্রাণক্যাম্পে রয়েছেন, তারা বাড়ি ফিরলেই যেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় অর্থ দ্রুত হাতে পান। সেই প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত দফতরকে। উপস্থিত ছিলেন দফতরের সচিবও। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েত দফতরকে যৌথভাবে দোকানগুলির ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা দ্রুত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে কোহিতুর, নবাবপাসন্দ, রানিপাসন্দ আমে মাতবে ১ মাসব্যাপী আম উৎসব

প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যসচিব জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে কড়া বার্তা দেন, যাতে দ্রুত পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা যায় এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। জেলাশাসকের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সরকারের তরফে স্পষ্ট বার্তা; যেখানেই ক্ষতি হয়েছে, সেখানেই দ্রুত পৌঁছতে হবে সহানুভূতির হাত। আর সেই লক্ষ্যে প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়েছে তৎপরতা।

আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে ক্ষয়ক্ষতি ১০৯টি বাড়িতে, দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্গঠনের নির্দেশ নবান্নের

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক অশান্তির জেরে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক সমীক্ষা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। শনিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিভিন্ন জেলার জেলা ও অতিরিক্ত জেলাশাসক, পঞ্চায়েত ও অন্যান্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের জেলা প্রশাসনের তরফে মুখ্যসচিবকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, অশান্তির জেরে সূতি ও ধুলিয়ান মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১০৯টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ঘোষণা করেছেন; অশান্তিতে মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও, দোকানপাটের ক্ষতি হলে তারও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন: হাজারও মুসল্লির ঢল, উৎসবের আবহে ঈদ-উল-আযহা’র নামায সম্পন্ন লোহরপুর ঈদগাহ ময়দানে

বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যাঁরা আপাতত বিভিন্ন ত্রাণক্যাম্পে রয়েছেন, তারা বাড়ি ফিরলেই যেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় অর্থ দ্রুত হাতে পান। সেই প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত দফতরকে। উপস্থিত ছিলেন দফতরের সচিবও। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসন ও পঞ্চায়েত দফতরকে যৌথভাবে দোকানগুলির ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা দ্রুত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে কোহিতুর, নবাবপাসন্দ, রানিপাসন্দ আমে মাতবে ১ মাসব্যাপী আম উৎসব

প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যসচিব জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে কড়া বার্তা দেন, যাতে দ্রুত পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা যায় এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। জেলাশাসকের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সরকারের তরফে স্পষ্ট বার্তা; যেখানেই ক্ষতি হয়েছে, সেখানেই দ্রুত পৌঁছতে হবে সহানুভূতির হাত। আর সেই লক্ষ্যে প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়েছে তৎপরতা।

আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী