০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৌদির মুন্ডু কেটে ধারাল অস্ত্র-সহ হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজির দেওর!

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 92

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নিজের বৌদির কাটা মুন্ডু ও ধারল অস্ত্র নিয়ে সাত সকালে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজির যুবক। এমন হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে হতবাক সাধারণ মানুষ। মৃতের নাম সখি মণ্ডল(৫৮)।শনিবার এমন হাড়হিম করা মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভরতগড় পঞ্চায়েতের ৬ ভরতগড় গ্রামে। পুলিশ অভিযুক্তকে ধারালে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর ভরতগড় পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গিরেণ মণ্ডল। তাঁর স্ত্রী সখি মন্ডল। গত প্রায় মাস পাঁচেক আগে সখি মণ্ডলের সঙ্গে বচসা করে করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে ও মেয়ে বিবাহিত।গিরেণ মণ্ডলের মৃত্যুর পর সম্পত্তি নিয়ে বচসা শুরু হয় দেওর বিমল মণ্ডলের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: ক্রেতার হাতে ‘খুন’ বিক্রেতা! ৫০ টাকার জেরে খুন বলে অভিযোগ

শনিবার সকালে আম কুড়াতে গিয়েছিলেন সখি মণ্ডল। সেই নিয়ে বচসা শুরু হয় দেওর-বৌদি-র। আচমকা দেওর ঘর থেকে ধারালে দা বের করে বৌদিকে কেটে ফেলে। দেহ থেকে মুন্ডু আলদা করে।অন্যদিকে প্রতিবেশীরা এমন হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে ভয়ে কেউ উদ্ধার করতে সাহস দেখায়নি।

আরও পড়ুন: বিহারে খুন পুনের ব্যবসায়ী, সাইবার প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী

এদিকে বৌদির কাটা মুন্ডুর চুলের মুঠি ধরে এক হাতে আর অন্যহাতে ধারালে অস্ত্র নিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল। সাত সকালে রাস্তায় এমন হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে হতবাক সাধারণ মানুষজন।পথচলিত মানুষজন কেউ কেউ এমন দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেন।

আরও পড়ুন: ৩ বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করল বাবা

অন্যদিকে খবর পৌঁছায় বাসন্তী থানায়।বিশাল পুলিশ বাহিনী তড়িঘড়ি রওনা দেয় ঘটনাস্থলের উদ্দেশে। মাঝপথে দেখতে পায় বিমলের হাতে ধারালে অস্ত্র আর কাটা মুন্ডু। পুলিশও ভয়ে এগোতে সাহস পায়নি। দূর থেকে বিমলকে নির্দেশ দেয় অস্ত্র মাটিতে ফেলে হাত উঁচু করার জন্য। অস্ত্র মাটিতে ফেলে কাটা মুন্ডু নিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য পুলিশের গাড়িতে ওঠে অভিযুক্ত। পুলিশ ধারালে অস্ত্র উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।

ঘটনাস্থল থেকে বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এমন ঘটনায় সমগ্র ক্যানিং মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারী রাম কুমার মণ্ডল, বাসন্তী থানার আইসি অভিজিত পাল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত বধূর ছেলে সৌম্যদীপ মণ্ডল জানিয়েছেন, “দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তি নিয়ে কাকা বিমল মণ্ডল অশান্তি করছিল। সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্য ছিল। মা প্রতিবাদ করেছিলেন। এদিন মা আম পাড়তে গিয়েছিল।কাকা বচসা বাধায়। পরে নৃশংসভাবে খুন করে। নৃশংস ভাবে মাকে খুন করার জন্য কাকার যেন ফাঁসি হয়।”

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বৌদির মুন্ডু কেটে ধারাল অস্ত্র-সহ হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজির দেওর!

আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নিজের বৌদির কাটা মুন্ডু ও ধারল অস্ত্র নিয়ে সাত সকালে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজির যুবক। এমন হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে হতবাক সাধারণ মানুষ। মৃতের নাম সখি মণ্ডল(৫৮)।শনিবার এমন হাড়হিম করা মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভরতগড় পঞ্চায়েতের ৬ ভরতগড় গ্রামে। পুলিশ অভিযুক্তকে ধারালে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর ভরতগড় পঞ্চায়েতের বাসিন্দা গিরেণ মণ্ডল। তাঁর স্ত্রী সখি মন্ডল। গত প্রায় মাস পাঁচেক আগে সখি মণ্ডলের সঙ্গে বচসা করে করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে ও মেয়ে বিবাহিত।গিরেণ মণ্ডলের মৃত্যুর পর সম্পত্তি নিয়ে বচসা শুরু হয় দেওর বিমল মণ্ডলের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: ক্রেতার হাতে ‘খুন’ বিক্রেতা! ৫০ টাকার জেরে খুন বলে অভিযোগ

শনিবার সকালে আম কুড়াতে গিয়েছিলেন সখি মণ্ডল। সেই নিয়ে বচসা শুরু হয় দেওর-বৌদি-র। আচমকা দেওর ঘর থেকে ধারালে দা বের করে বৌদিকে কেটে ফেলে। দেহ থেকে মুন্ডু আলদা করে।অন্যদিকে প্রতিবেশীরা এমন হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে ভয়ে কেউ উদ্ধার করতে সাহস দেখায়নি।

আরও পড়ুন: বিহারে খুন পুনের ব্যবসায়ী, সাইবার প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী

এদিকে বৌদির কাটা মুন্ডুর চুলের মুঠি ধরে এক হাতে আর অন্যহাতে ধারালে অস্ত্র নিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল। সাত সকালে রাস্তায় এমন হাড়হিম করা দৃশ্য দেখে হতবাক সাধারণ মানুষজন।পথচলিত মানুষজন কেউ কেউ এমন দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেন।

আরও পড়ুন: ৩ বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করল বাবা

অন্যদিকে খবর পৌঁছায় বাসন্তী থানায়।বিশাল পুলিশ বাহিনী তড়িঘড়ি রওনা দেয় ঘটনাস্থলের উদ্দেশে। মাঝপথে দেখতে পায় বিমলের হাতে ধারালে অস্ত্র আর কাটা মুন্ডু। পুলিশও ভয়ে এগোতে সাহস পায়নি। দূর থেকে বিমলকে নির্দেশ দেয় অস্ত্র মাটিতে ফেলে হাত উঁচু করার জন্য। অস্ত্র মাটিতে ফেলে কাটা মুন্ডু নিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য পুলিশের গাড়িতে ওঠে অভিযুক্ত। পুলিশ ধারালে অস্ত্র উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।

ঘটনাস্থল থেকে বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এমন ঘটনায় সমগ্র ক্যানিং মহকুমা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারী রাম কুমার মণ্ডল, বাসন্তী থানার আইসি অভিজিত পাল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত বধূর ছেলে সৌম্যদীপ মণ্ডল জানিয়েছেন, “দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তি নিয়ে কাকা বিমল মণ্ডল অশান্তি করছিল। সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্য ছিল। মা প্রতিবাদ করেছিলেন। এদিন মা আম পাড়তে গিয়েছিল।কাকা বচসা বাধায়। পরে নৃশংসভাবে খুন করে। নৃশংস ভাবে মাকে খুন করার জন্য কাকার যেন ফাঁসি হয়।”