২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নামাযের সময় মসজিদের বাইরে মাইক বন্ধের দাবি! কর্নাটক সরকারের সমালোচনায় কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 30

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল কর্নাটক। যার আঁচ পড়েছিল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদের আগুন কর্নাটক থেকে বেরিয়ে প্রায় গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখনও সেই আগুন নেভেনি। এবার সেই আগুনে আরও একবার ঘৃতাহুতি দিল কর্নাটক সরকার।

শুরু হয়েছে রমযান মাস। প্রতিটি মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র রমযান মাস। ফের বিতর্কে কর্নাটক সরকার। নামাযের সময়ে মসজিদের বাইরে বাজানো যাবে না মাইক!  হিজাব, হালাল মাংস বন্ধের পর এবার মসজিদে নামাযের সময় মাইক না  বাজানোর দাবি উঠেছে। এমনকী এই খানেই শেষ নয়, মাইকে নামায হলেই ভোরবেলা ভজনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মুসলিম যুবককে হত্যা, প্রতিবাদে গণইস্তফা কর্নাটকের সংখ্যালঘু নেতাদের

এই ঘটনায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাইয়ের সমালোচনা করে কর্নাটক সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

আরও পড়ুন: সরকারি ট্রেন্ডারে মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ, সিদ্ধান্ত কর্নাটক সরকারের

সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পিছনে আরএসএস, বজরং দল ইন্ধন যোগাচ্ছে। আর এই সবের নেপথ্যে রয়েছে কর্নাটক সরকার।’

আরও পড়ুন: ৪ হাজার কোটির বিনিয়োগ, প্রচুর কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলছে কর্ণাটকে

এদিকে সিদ্দারামাইয়ার মন্তুব্যকে  উড়িয়ে দিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বম্মাই বলেন,  ‘কংগ্রেসের এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সুপ্রিম কোর্টই শব্দদূষণ এড়াতে আওয়াজের মাত্রা মেপে দিয়েছে।’

বম্মাই আরও বলেন,  ‘আসলে কংগ্রেস একটি ভণ্ড দল। হিজাব ইস্যুর সময়ে কেন তারা চুপ ছিল আগে তার জবাব দিক। এই সবই ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়’।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ডানপন্থী দলগুলির পক্ষ থেকেও নামাযের সময়ে মসজিদের বাইরে লাউডস্পিকার না বাজানোর আবেদন রাখা হয়েছে।  তাদের বক্তব্য,  ভোরে নামাযের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে।

এই ঘটনায় পুরনো বিতর্ক নতুন রূপে দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের নব নির্মাণ সেনার সভাপতি রাজ ঠাকরে গত শনিবার শিবাজি পার্কে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, মসজিদে কেন মাইক বাজানো হবে? বন্ধ না হলে আমরাও হনুমান চালিশা পাঠ করব।

কর্নাটক রাজ্যের এই ইস্যুকে সামনে নেমে সোচ্চার হয়েছে শ্রীরাম সেনা বলে একটি সংগঠন। তাদের দাবি মসজিদে মাইক বাজানো বন্ধ রাখতে হবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মাইক বাজানো যাবে না। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে।

এদিকে কর্নাটকের বর্ষীয়ান মন্ত্রী কে এস এসাইয়াওরাপা বলেন,  মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নামাযের সময় মসজিদের বাইরে মাইক বন্ধের দাবি! কর্নাটক সরকারের সমালোচনায় কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া

আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল কর্নাটক। যার আঁচ পড়েছিল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদের আগুন কর্নাটক থেকে বেরিয়ে প্রায় গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখনও সেই আগুন নেভেনি। এবার সেই আগুনে আরও একবার ঘৃতাহুতি দিল কর্নাটক সরকার।

শুরু হয়েছে রমযান মাস। প্রতিটি মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র রমযান মাস। ফের বিতর্কে কর্নাটক সরকার। নামাযের সময়ে মসজিদের বাইরে বাজানো যাবে না মাইক!  হিজাব, হালাল মাংস বন্ধের পর এবার মসজিদে নামাযের সময় মাইক না  বাজানোর দাবি উঠেছে। এমনকী এই খানেই শেষ নয়, মাইকে নামায হলেই ভোরবেলা ভজনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মুসলিম যুবককে হত্যা, প্রতিবাদে গণইস্তফা কর্নাটকের সংখ্যালঘু নেতাদের

এই ঘটনায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাইয়ের সমালোচনা করে কর্নাটক সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

আরও পড়ুন: সরকারি ট্রেন্ডারে মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ, সিদ্ধান্ত কর্নাটক সরকারের

সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পিছনে আরএসএস, বজরং দল ইন্ধন যোগাচ্ছে। আর এই সবের নেপথ্যে রয়েছে কর্নাটক সরকার।’

আরও পড়ুন: ৪ হাজার কোটির বিনিয়োগ, প্রচুর কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলছে কর্ণাটকে

এদিকে সিদ্দারামাইয়ার মন্তুব্যকে  উড়িয়ে দিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বম্মাই বলেন,  ‘কংগ্রেসের এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সুপ্রিম কোর্টই শব্দদূষণ এড়াতে আওয়াজের মাত্রা মেপে দিয়েছে।’

বম্মাই আরও বলেন,  ‘আসলে কংগ্রেস একটি ভণ্ড দল। হিজাব ইস্যুর সময়ে কেন তারা চুপ ছিল আগে তার জবাব দিক। এই সবই ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়’।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ডানপন্থী দলগুলির পক্ষ থেকেও নামাযের সময়ে মসজিদের বাইরে লাউডস্পিকার না বাজানোর আবেদন রাখা হয়েছে।  তাদের বক্তব্য,  ভোরে নামাযের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে।

এই ঘটনায় পুরনো বিতর্ক নতুন রূপে দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের নব নির্মাণ সেনার সভাপতি রাজ ঠাকরে গত শনিবার শিবাজি পার্কে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, মসজিদে কেন মাইক বাজানো হবে? বন্ধ না হলে আমরাও হনুমান চালিশা পাঠ করব।

কর্নাটক রাজ্যের এই ইস্যুকে সামনে নেমে সোচ্চার হয়েছে শ্রীরাম সেনা বলে একটি সংগঠন। তাদের দাবি মসজিদে মাইক বাজানো বন্ধ রাখতে হবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মাইক বাজানো যাবে না। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে।

এদিকে কর্নাটকের বর্ষীয়ান মন্ত্রী কে এস এসাইয়াওরাপা বলেন,  মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।