১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাপুয়া নিউগিনিতে নিষিদ্ধ ফেসবুক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 184

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অনলাইন কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও পর্নোগ্রাফি থেকে নাগরিকদের ‘রক্ষার’ জন্য রাতারাতি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি।

 

সোমবার থেকে শুরু হওয়া ও মঙ্গলবার পর্যন্ত বিস্তৃত ফেসবুক বন্ধের এ পরীক্ষাটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০২৪ এর কাঠামোর আওতায় করা হয়েছে বলে দেশটির পুলিশ মন্ত্রী পিটার সিয়ামালিলি জানিয়েছেন। পাপুয়া নিউগিনিতে ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

 

১ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে প্রায় ১৩ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী। অনেকে ছোট ব্যবসা তাদের বিক্রয় কার্যক্রমের জন্য প্ল্যাটফর্মটির ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি দেশটিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে যাওয়ায় জনসাধারণের মতামত প্রকাশের জন্য ফেসবুক একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

 

বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার পরও অনেক ব্যবহারকারী ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারছেন।

 

সরকারের এমন পদক্ষেপকে ‘কঠোর’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় মন্ত্রী অ্যালান বার্ড। তিনি বলেন, ‘ নতুন আইনের আওতায় পুলিশ মন্ত্রী যে কোন পর্যায়ের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন তার কোনও সীমা নেই। এটি একটি কঠোর আইন, যা তৈরি করা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা হরণের জন্য। আমরা এখন বিপজ্জনক এক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর এই অত্যাচার বন্ধ করতে আমরা সবাই অক্ষম।’

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাপুয়া নিউগিনিতে নিষিদ্ধ ফেসবুক

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অনলাইন কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও পর্নোগ্রাফি থেকে নাগরিকদের ‘রক্ষার’ জন্য রাতারাতি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি।

 

সোমবার থেকে শুরু হওয়া ও মঙ্গলবার পর্যন্ত বিস্তৃত ফেসবুক বন্ধের এ পরীক্ষাটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০২৪ এর কাঠামোর আওতায় করা হয়েছে বলে দেশটির পুলিশ মন্ত্রী পিটার সিয়ামালিলি জানিয়েছেন। পাপুয়া নিউগিনিতে ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

 

১ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে প্রায় ১৩ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী। অনেকে ছোট ব্যবসা তাদের বিক্রয় কার্যক্রমের জন্য প্ল্যাটফর্মটির ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি দেশটিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে যাওয়ায় জনসাধারণের মতামত প্রকাশের জন্য ফেসবুক একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

 

বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার পরও অনেক ব্যবহারকারী ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারছেন।

 

সরকারের এমন পদক্ষেপকে ‘কঠোর’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় মন্ত্রী অ্যালান বার্ড। তিনি বলেন, ‘ নতুন আইনের আওতায় পুলিশ মন্ত্রী যে কোন পর্যায়ের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন তার কোনও সীমা নেই। এটি একটি কঠোর আইন, যা তৈরি করা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা হরণের জন্য। আমরা এখন বিপজ্জনক এক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর এই অত্যাচার বন্ধ করতে আমরা সবাই অক্ষম।’