১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহারাষ্ট্রের স্কুলগুলিতে প্রাথমিকে হিন্দি বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য সরকার

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 291

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসাবে বাধ্যতামূলক করতে চাইছে মহারাষ্ট্র সরকার। মারাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রাথমিকে পড়ুয়াদের বাধ্যতামূলকভাবে হিন্দি ভাষা পড়তে হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ সালের নতুন পাঠ্যক্রমে তিনটি ভাষার উপর জোর দিতে চাইছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার।

আরও পড়ুন: ভারত সফরে আসছেন মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স

আরও পড়ুন: শনি শিঙ্গনাপুর মন্দির থেকে ছাটাই ১১৪ জন মুসলিম কর্মী, পর্দার আড়ালে হিন্দুত্ববাদীরা!

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেই প্রাথমিকে হিন্দি তৃতীয় ভাষা হিসাবে বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা হবে বলে খবর। ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে প্রথম থেকে পঞ্চম সব শ্রেণিতে তা কার্যকর করা হবে। রাজ্য সরকার ২০২৫ সালের মধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষককে নতুন পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে তিনটি ভাষায় পড়ানো হচ্ছে। রাজ্যে ইংরেজি এবং মারাঠি ভাষা বাধ্যতামূলক হিসাবে পড়ানো হয়। সেই সব স্কুলগুলিতে মাত্র দু’টি ভাষাতেই পড়ানো হয়। এবার থেকে পড়ুয়াদের হিন্দি ভাষাতেও পড়তে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথামিক স্তরে বহুভাষিক দক্ষতা তৈরি করাই এই শিক্ষানীতির লক্ষ্য। ২০২০-এর জাতীয় শিক্ষানীতিতে পড়ুয়াদের জন্য তিনটি ভাষা শেখার সুপারিশ করা হয়েছিল। যার মধ্যে অনন্ত দু’টি স্থানীয় ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক। যা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় স্কুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে সেক্ষেত্রে ভাষা বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। অঞ্চলভেদে যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাই উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। দক্ষিণে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।

আরও পড়ুন: মন্ত্রীর স্বামীকে ‘বেধড়ক মার’, পুলিশের জালে ৪ বিজেপি কর্মী

তামিলনাড়ুই একমাত্র রাজ্য যেখানে কখনও তিনটি ভাষা প্রয়োগ করা সম্ভাব হয়নি। হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার পরিবর্তে ইংরেজিকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ু জাতীয় শিক্ষানীতির অধীন হিন্দি ভাষা প্রয়োগে অস্বীকার করায় কেন্দ্র সর্ব শিক্ষা অভিযানের প্রায় ৫৭৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে বলে তোপ দেগেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। যদিও এসএসএ তহবিল পেতে হলে রাজ্যগুলিকে এনইপি নির্দেশিকা মেনে চলতে হয়। যার ৬০ শতাংশ কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: ২০৩৪-এর আগে ‘এক দেশ এক ভোট’ সম্ভব নয়, জানালেন সংসদীয় কমিটির প্রধান

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহারাষ্ট্রের স্কুলগুলিতে প্রাথমিকে হিন্দি বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য সরকার

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসাবে বাধ্যতামূলক করতে চাইছে মহারাষ্ট্র সরকার। মারাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রাথমিকে পড়ুয়াদের বাধ্যতামূলকভাবে হিন্দি ভাষা পড়তে হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ সালের নতুন পাঠ্যক্রমে তিনটি ভাষার উপর জোর দিতে চাইছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার।

আরও পড়ুন: ভারত সফরে আসছেন মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স

আরও পড়ুন: শনি শিঙ্গনাপুর মন্দির থেকে ছাটাই ১১৪ জন মুসলিম কর্মী, পর্দার আড়ালে হিন্দুত্ববাদীরা!

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেই প্রাথমিকে হিন্দি তৃতীয় ভাষা হিসাবে বাধ্যতামূলকভাবে চালু করা হবে বলে খবর। ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে প্রথম থেকে পঞ্চম সব শ্রেণিতে তা কার্যকর করা হবে। রাজ্য সরকার ২০২৫ সালের মধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষককে নতুন পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে তিনটি ভাষায় পড়ানো হচ্ছে। রাজ্যে ইংরেজি এবং মারাঠি ভাষা বাধ্যতামূলক হিসাবে পড়ানো হয়। সেই সব স্কুলগুলিতে মাত্র দু’টি ভাষাতেই পড়ানো হয়। এবার থেকে পড়ুয়াদের হিন্দি ভাষাতেও পড়তে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথামিক স্তরে বহুভাষিক দক্ষতা তৈরি করাই এই শিক্ষানীতির লক্ষ্য। ২০২০-এর জাতীয় শিক্ষানীতিতে পড়ুয়াদের জন্য তিনটি ভাষা শেখার সুপারিশ করা হয়েছিল। যার মধ্যে অনন্ত দু’টি স্থানীয় ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক। যা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় স্কুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে সেক্ষেত্রে ভাষা বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। অঞ্চলভেদে যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাই উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। দক্ষিণে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।

আরও পড়ুন: মন্ত্রীর স্বামীকে ‘বেধড়ক মার’, পুলিশের জালে ৪ বিজেপি কর্মী

তামিলনাড়ুই একমাত্র রাজ্য যেখানে কখনও তিনটি ভাষা প্রয়োগ করা সম্ভাব হয়নি। হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার পরিবর্তে ইংরেজিকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ু জাতীয় শিক্ষানীতির অধীন হিন্দি ভাষা প্রয়োগে অস্বীকার করায় কেন্দ্র সর্ব শিক্ষা অভিযানের প্রায় ৫৭৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে বলে তোপ দেগেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন। যদিও এসএসএ তহবিল পেতে হলে রাজ্যগুলিকে এনইপি নির্দেশিকা মেনে চলতে হয়। যার ৬০ শতাংশ কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: ২০৩৪-এর আগে ‘এক দেশ এক ভোট’ সম্ভব নয়, জানালেন সংসদীয় কমিটির প্রধান