গোসাবায় শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল, জখম ৬

- আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 78
কুতুব উদ্দিন মোল্লা, গোসাবা: শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মারামারীর ঘটনায় উত্তপ্ত হল এলাকা। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ৬ জন তৃণমৃূল কর্মী সমর্থক।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন কোষ্টাল থানার অন্তর্গত রাধানগর-তারনগর পঞ্চায়েতের রাধানগর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। জখম গিয়াসউদ্দিন জমাদার, আলেম মারিফ, ছাবিবুল মোল্লা,সাহাবুর জমাদার,আমিনা বিবি, রাহিলা জমাদার’রা মোল্লাখালি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর গত ২০২৩ সালে ২৭ নভেম্বর রাধানগরের তৃণমূল বুথ সভাপতি মুছাকলি মোল্লা খুন হয়েছিলেন। বর্তমানে সেই ঘটনা আদালতে বিচারাধীন।খুনের ঘটনার পর থেকে আক্রান্তরা বাইরের থাকছিলেন।গত কয়েক আগে বাড়িতে ফিরে আসে।
সোমবার রাতে বাড়ির কাছেই ঘোরাফেরা করছিল।অভিযোগ এমত অবস্থায় মুছাকালির পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও এলাকায় কয়েকজন আক্রান্তদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ৬ জন।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের কে মোল্লাখালি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত গিয়াসউদ্দিন জমাদার জানিয়েছেন, ‘সোমবার রাতে আচমকা আমার উপর লাঠি, লোহার রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আলমগীর, নুরুল হাসান, আজমীর, একরাবুল মোল্লা ও রফিক বৈদ্যরা। বেধড়ক মারধর করে।
আমাকে যারা উদ্ধার করতে এগিয়ে এসেছিল তাদেরকে ও বেধড়ক মারধর করে। এরা নামে তৃণমূল। কিন্তু এরা সকলেই দুষ্কৃতি।ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’
তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি তপন মন্ডল জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটাই দল। কোন গোষ্ঠি নেই। কি ঘটনা ঘটেছে তা জানা নেই।
তবে গত ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর খুন হয়েছিলেন বুথ সভাপতি মুছাকলি মোল্লা। সেই মামলা চলছে।মুছাকলির স্ত্রী সোমবার রাতে তাঁর ননদের আমতলির বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় খুনের ঘটনায় জড়িতরা মুছাকলির স্ত্রীকে ভয় দেখায়। যাতে তারা মামলায় আদালতে সাক্ষী না দেয়।
মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এরপর দুপক্ষের মধ্যে সম্ভবত মারামারী হয়েছে। তবে সঠিক কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার পর বলা সম্ভব হবে।