২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমরা কৃষকদের পাশে আছি’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বললেন রাহুল গান্ধি

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বুধবার
  • / 41

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কৃষক আন্দোলনে ফের উত্তাল দিল্লি সীমানা৷ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হল দিল্লি প্রবেশে রাস্তা৷ নূন্যতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে মাঠে নেমেছে অমিত শাহের পুলিশ। বিক্ষোভ দমন করতে কার্যত ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। মিছিলে চালানো হয়েছে লাঠি, ড্রোন থেকে ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস। কৃষকদের উপর নৃশংস অত্যাচার নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাহুল লিখেছেন, ‘গুরমিত সিংজি কৃষক আন্দোলনের সময় পুলিশি অত্যাচারে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের অধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি।’ কৃষকদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি জানিয়েছেন, মোদি সরকারের দেশের অন্নদাতাদের প্রতি একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব দেখাচ্ছেন। আমরা আছি আপনার সঙ্গে। চিন্তা করবেন না।

 

আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে লেখা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন: অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্টভাবে জানান

আন্দোলনের দিন কৃষকদের উপর যেভাবে নৃশংস অত্যাচার চালায় দিল্লি পুলিশ। তা নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও কৃষকদের পাশে আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষকদের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, “কৃষকরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হচ্ছে। তাদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। আমাদের দেশ কীভাবে উন্নতি করবে? কৃষকদের উপর বিজেপির নৃশংস আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি।”

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের কথাতেই আত্মসমর্পণ, এবার মোদিকে খোঁচা রাহুলের

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রাহুল গান্ধির

উল্লেখ, মঙ্গলবার সরকারের প্রতিশ্রুতি মতো এমএসপি না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা৷ আর সেই আন্দোলনই মারাত্মক রূপ নেয় দেশের রাজধানীর সীমানায়৷ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লি প্রবেশে রাস্তা৷ অন্য সীমান্তগুলির তুলনায় এদিন বেশি অশান্ত হয়ে পড়ে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার শম্ভু সীমান্ত এলাকা৷ সেখানে দিল্লি চলো মিছিল আটকাতে উপস্থিত ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ মিছিলের মধ্যে থেকেই প্রতিবাদী কৃষকদের একাংশকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আম্বালার কাছে মিছিল আটকে দেওয়া হয়৷ তার পরেই প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়৷ কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি৷

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘আমরা কৃষকদের পাশে আছি’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বললেন রাহুল গান্ধি

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কৃষক আন্দোলনে ফের উত্তাল দিল্লি সীমানা৷ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হল দিল্লি প্রবেশে রাস্তা৷ নূন্যতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে কৃষক আন্দোলন ঠেকাতে মাঠে নেমেছে অমিত শাহের পুলিশ। বিক্ষোভ দমন করতে কার্যত ‘আয়রন হ্যান্ড’ পলিসি নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। মিছিলে চালানো হয়েছে লাঠি, ড্রোন থেকে ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস। কৃষকদের উপর নৃশংস অত্যাচার নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাহুল লিখেছেন, ‘গুরমিত সিংজি কৃষক আন্দোলনের সময় পুলিশি অত্যাচারে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের অধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি।’ কৃষকদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি জানিয়েছেন, মোদি সরকারের দেশের অন্নদাতাদের প্রতি একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব দেখাচ্ছেন। আমরা আছি আপনার সঙ্গে। চিন্তা করবেন না।

 

আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে লেখা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন: অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্টভাবে জানান

আন্দোলনের দিন কৃষকদের উপর যেভাবে নৃশংস অত্যাচার চালায় দিল্লি পুলিশ। তা নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও কৃষকদের পাশে আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষকদের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, “কৃষকরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হচ্ছে। তাদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। আমাদের দেশ কীভাবে উন্নতি করবে? কৃষকদের উপর বিজেপির নৃশংস আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি।”

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের কথাতেই আত্মসমর্পণ, এবার মোদিকে খোঁচা রাহুলের

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রাহুল গান্ধির

উল্লেখ, মঙ্গলবার সরকারের প্রতিশ্রুতি মতো এমএসপি না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা৷ আর সেই আন্দোলনই মারাত্মক রূপ নেয় দেশের রাজধানীর সীমানায়৷ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় দিল্লি প্রবেশে রাস্তা৷ অন্য সীমান্তগুলির তুলনায় এদিন বেশি অশান্ত হয়ে পড়ে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার শম্ভু সীমান্ত এলাকা৷ সেখানে দিল্লি চলো মিছিল আটকাতে উপস্থিত ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ মিছিলের মধ্যে থেকেই প্রতিবাদী কৃষকদের একাংশকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ আম্বালার কাছে মিছিল আটকে দেওয়া হয়৷ তার পরেই প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়৷ কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি৷