ভরতপুরের হুমায়ূনকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’

- আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
- / 44
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বারবার সাবধান করা সত্ত্বেও সামলানো যাচ্ছে না ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। একদিকে বেফাঁস মন্তব্য করে দলের সমালোচনা অন্যদিকে বিরোধীদের উদ্দেশে বেলাগাম শব্দ প্রয়োগ — হুমায়ুনের এই দ্বৈত কার্যকলাপে জেরবার তৃণমূলের নেতৃত্ব।
আগে অনেকবার শো-কজ ও সতর্কবার্তা দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শুক্রবার তাই হুমায়ুন কবীরকে কড়া ভাষায় চিঠি দেওয়া হল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে। চিঠিতে স্পষ্ট করে লেখা হল– ‘লাস্ট অ্যান্ড ফাইনাল ওয়ার্নিং’।
গত কয়েকদিন ধরেই হুমায়ুন কবীরের একাধিক মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদলকে। সাংবাদমাধ্যমের সামনে হুনায়ুনের একাধিক মন্তব্য নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দলকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় নিজের ঘরে ডেকে পাঠান হুমায়ুন কবীরকে।
ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শোভনদেববাবু জানান, আগেও তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরেও বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন হুমায়ুন কবীর। আগেও শোকজ করে হুমায়ুনকে কমিটির সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তারপরেও হুমায়ুনের আচরণে পরিবর্তন না আসার এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, এবারও দলের নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিধায়ক পদ নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারে দলীয় নেতৃত্ব।
অন্যদিকে শুক্রবারও হুমায়ুন কবীর বিধানসভার বাইরে বলেন, দল নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। আমার তাতে কিছু যায় আসে না। আমি মনে করি না, অন্যায় কিছু বলেছি। শুক্রবারও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, ওঁকে অন্তত একমাস জেলে বন্দি করে রাখলেও রাজ্য ঠান্ডা হয়ে যাবে।