২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে সংসদে সরব রাহুল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবার
  • / 232

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলছে। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার বিরুদ্ধে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। বুধবার লোকসভা মুলতুবি হওয়ার পর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধি। সংসদের বাইরে বেরিয়ে রাহুল অভিযোগ করেন, “অধ্যক্ষ তাঁকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন না।”

আরও পড়ুন: মুসলিমরা খারাপ, ওদের মধ্যে হিন্দুরা নিরাপদ নয়, বিতর্কে যোগী আদিত্যনাথ

আরও পড়ুন: সংসদের বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্র

সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “আমাকে কথা বলতে দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যান। এভাবে সংসদ পরিচালনা করা যায় না। নিজে বেরিয়ে গিয়ে, আমার কথা বলার পথ বন্ধ করে দিলেন।” বিরোধী দলনেতা আরও অভিযোগ করেন, “তিনি আমার বিরুদ্ধে কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। সে বিষয়ে আমি যখন কিছু বলতে যাব, তখনই সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব রাখেন।”

আরও পড়ুন: সিডিএস-র স্বীকারোক্তির পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি

শুধুমাত্র লোকসভার অধ্যক্ষ নয়, বিরোধীদের ‘মুখ বন্ধ’ করার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর কথায, “এটা একটা নতুন কৌশল। এখানে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই। যে দিন প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভ নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন, সেই দিন ওই প্রসঙ্গে আমিও কিছু বলতে চেয়েছিলাম। দেশের বেকারত্বের দিকটা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। সেই দিনও আমাকে একটা কথাও বলতে দেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “এত দিন ধরে অধিবেশন চলছে। আমাকে একটা কথাও বলতে দেওয়া হয়নি। গত ৭-৮ দিন ধরে আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। যা গণতন্ত্র বিরোধী।”

আরও পড়ুন: সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা বিদেশ থেকে ফিরলেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি মমতার

উল্লেখ্য, রাহুলের তোলা অভিযোগ নিয়ে অধ্যক্ষ মুখ খোলেননি। তবে সাংসদের মুলতুবি তুলে অধিবেশন শুরু হতেই অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, “আমি মনে করি বিরোধী দলনেতা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী আচরণ করবেন ও অধিবেনকে অব্যহত রাখবেন।”

বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ বারবার উঠেছে। এদিন আবারও একবার বিরোধী দলনেতার কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ তুলে সংসদের বাইরে সুর চড়ালেন কংগ্রেস সাংসদরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে সংসদে সরব রাহুল

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলছে। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার বিরুদ্ধে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। বুধবার লোকসভা মুলতুবি হওয়ার পর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধি। সংসদের বাইরে বেরিয়ে রাহুল অভিযোগ করেন, “অধ্যক্ষ তাঁকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন না।”

আরও পড়ুন: মুসলিমরা খারাপ, ওদের মধ্যে হিন্দুরা নিরাপদ নয়, বিতর্কে যোগী আদিত্যনাথ

আরও পড়ুন: সংসদের বাদল অধিবেশনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল কেন্দ্র

সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “আমাকে কথা বলতে দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যান। এভাবে সংসদ পরিচালনা করা যায় না। নিজে বেরিয়ে গিয়ে, আমার কথা বলার পথ বন্ধ করে দিলেন।” বিরোধী দলনেতা আরও অভিযোগ করেন, “তিনি আমার বিরুদ্ধে কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। সে বিষয়ে আমি যখন কিছু বলতে যাব, তখনই সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব রাখেন।”

আরও পড়ুন: সিডিএস-র স্বীকারোক্তির পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি

শুধুমাত্র লোকসভার অধ্যক্ষ নয়, বিরোধীদের ‘মুখ বন্ধ’ করার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর কথায, “এটা একটা নতুন কৌশল। এখানে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই। যে দিন প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভ নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন, সেই দিন ওই প্রসঙ্গে আমিও কিছু বলতে চেয়েছিলাম। দেশের বেকারত্বের দিকটা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। সেই দিনও আমাকে একটা কথাও বলতে দেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “এত দিন ধরে অধিবেশন চলছে। আমাকে একটা কথাও বলতে দেওয়া হয়নি। গত ৭-৮ দিন ধরে আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। যা গণতন্ত্র বিরোধী।”

আরও পড়ুন: সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা বিদেশ থেকে ফিরলেই সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আর্জি মমতার

উল্লেখ্য, রাহুলের তোলা অভিযোগ নিয়ে অধ্যক্ষ মুখ খোলেননি। তবে সাংসদের মুলতুবি তুলে অধিবেশন শুরু হতেই অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, “আমি মনে করি বিরোধী দলনেতা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী আচরণ করবেন ও অধিবেনকে অব্যহত রাখবেন।”

বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ বারবার উঠেছে। এদিন আবারও একবার বিরোধী দলনেতার কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ তুলে সংসদের বাইরে সুর চড়ালেন কংগ্রেস সাংসদরা।