যুদ্ধে ইরানে আটকে দেগঙ্গার তিনটি পরিবারের ৫ সদস্য

- আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার
- / 17
জাহির হোসেন, বারাসত: দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢালিপাড়া থেকে তিনটি পরিবারের মোট পাঁচজন গিয়েছেন ইরানের ধর্মীয়স্থান দর্শনে। কিন্তু হঠাৎ করেই যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য তারাও আটকে পড়েছেন। সঠিকভাবে মিলছে না খাবার। শুধু তাই নয় এলাকার পরিস্থিতি যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে গিয়েছে তা টিভিতে চোখ রেখেই টের করছেন পরিবার। মাঝেমধ্যে কথা হলেও তা এক মিনিট পেরচ্ছে না। শুধু তাই নয় ইন্টারনেট নেই। ফলে, চূড়ান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ঢালিপাড়ার এই পরিবারগুলি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢালিপাড়ার গফুর আলি গাঁয়েন ও তার স্ত্রী সুকরান বিবি, শাহিদ আলি গাঁয়েন ও তার স্ত্রী মুসলিমা বিবি এবং পড়শি আক্রাম হোসেনরা গত ৩০ মে প্লেনে চড়ে গিয়েছেন ইরানে। ফেরার কথা ছিল ১৮ জুন। কিন্তু, হঠাৎ করেই সপ্তাহখানেক আগে শুরু হওয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির দরুণ দুর্বিপাকে পড়ে গিয়েছেন তিনটি পরিবার। জল থেকে শুরু করে খাবার সব কিছুরই চূড়ান্ত সংকট তৈরি হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরা। মুর্হুতে মুর্হুতে বিস্ফোরণে আওয়াজ কার্যত দিশাহীন করে দিয়েছে প্রত্যেককেই। তাই, বাড়ি ফেরা কবে হবে তা এখনও অজানা প্রত্যেকের কাছে। আক্রাম তার দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে গিয়েছেন। স্ত্রী সালমা বিবি কার্যত দিশেহারা হয়ে বললেন, ‘কিছুই চাই না আমি। সরকার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করুক।’
অন্যদিকে, শাহিদ আলির ছেলে হোসেন মেহেদি হতাশার সুরে বললেন, ‘বাবা-মা সহ পড়শি মোট পাঁচজন গিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় স্থানে। কিন্তু এখন এই অবস্থা। যোগাযোগও করতে পারছি না। আমরা বিডিও অফিসে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি, সরকার আমাদের এই অসহায় সময়ে পাশে দাঁড়াবে।’