১৭ বছর পর শুরু হচ্ছে জনগণনা, জারি বিজ্ঞপ্তি, হবে জাতভিত্তিক গণনাও

- আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার
- / 44
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জনগণনা সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, দুই পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬-২৭ সালের জনগণনা, যার সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো জাতভিত্তিক গণনাও চালানো হবে।গত রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে কেন্দ্রশাসিত লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের প্রত্যন্ত ও বরফাবৃত এলাকাগুলিতে শুরু হবে প্রথম পর্যায়ের জনগণনা ও জাতগণনা। এরপর ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশের বাকি অংশে পুরোদমে দ্বিতীয় পর্যায়ের জনগণনার কাজ শুরু হবে।
২০১১ সালের পর ভারতে আর কোনও জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে নির্ধারিত জনগণনা মহামারির কারণে স্থগিত হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মোদি সরকার জনগণনার বিষয়ে কোনও আশ্বাস দেয়নি। যার জন্য বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে।
এর মাঝে বিরোধী দলগুলির জোরালো দাবি ওঠে জাতভিত্তিক গণনার। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বারবার এই দাবি তুলেছিলেন। সেই সময় বিজেপি নেতারা এই দাবিকে তীব্রভাবে খণ্ডন করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা’র অভিযোগ আনেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর অবস্থান বদল করে কেন্দ্র।
৩০ এপ্রিল সরকার ঘোষণা করে, এবার জনগণনার সঙ্গে জাতভিত্তিক গণনাও হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১৯৪৮ সালের জনগণনা আইনের ধারা ৩ অনুসারে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।