১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত জোড়ো যাত্রা শুক্রবার মাঝপথেই বাতিল করলেন রাহুল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 78

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নিরাপত্তার ঘাটতির অভাবে  শুক্রবার মাঝ পথেই স্থগিত হয়ে যায় ভারত জোড়ো যাত্রা। রাহুল গান্ধির অভিযোগ, পদযাত্রাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যে পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল তা  প্রত্যাহার করার কারণেই এদিনের মতো  বাতিল হয়ে যায় যাত্রা।

শুক্রবার রাহুল গান্ধি ২০ কিলোমিটার হাঁটবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে  শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পরেই বন্ধ হয়ে যায় এদিনের যাত্রা। সেই সময় রাহুলের পাশে হাঁটছিলেন কাশ্মীরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহও। উভয়ের পরনেই ছিল সাদা টি-শার্ট।

আরও পড়ুন: ভারত বাছ-বিচার না করেই বাসিন্দাদের বিতাড়ন করছে, দরিদ্র বলে তারা আদালতে যেতে পারছে না

পদযাত্রায় উপস্থিত কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, শ্রীনগরের পথে হাঁটতে হাঁটতে বানিহাল সুড়ঙ্গ অতিক্রম করার পরই দেখা যায়, ওপারে বহু মানুষ তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছেন।

আরও পড়ুন: দু’বেলার আহার জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে গ্রামীণ ভারত: গবেষণা রিপোর্ট

দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, সেই সময় চার দিকে একজনও পুলিশকর্মীকে তারা কেউ দেখতে পাননি। এই অবস্থায় যাত্রা থামিয়ে দেওয়ার কথা বলেন রাহুলের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। তার পরেই দিনের জন্য পদযাত্রা স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুলিশের গাড়িতে তুলে রাহুলকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়।

আরও পড়ুন: ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে, কমেছে জন্মহার 

বানিহাল সুড়ঙ্গের সামনে দাঁড়িয়ে রাহুল সাংবাদিকদের বলেন, ‌‍‍যে পুলিশকর্মীদের আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের কারো দেখা নেই। আমরা সুড়ঙ্গ পেরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ল। এতে আমার নিরাপত্তারক্ষীরা আপত্তি করেন। তাই আমাকে যাত্রা স্থগিত করে দিতে হয়েছে।’  ‌

কংগ্রেস সূত্রে খবর, যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করার পরও বানিহাল সুড়ঙ্গের সামনেই প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় রাহুলকে। তার পর তাঁর জন্য গাড়ি আসে। প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবারও খারাপ আবহাওয়ার জন্য ভারত জোড়ো যাত্রা বেরোতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের ‌ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়েছিল গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে। সেখানে থেকে সারা ভারত হয়ে ৩০ জানুয়ারি পদযাত্রা শেষ হওয়ার কথা কাশ্মীরের শ্রীনগরে।

দলটির দাবি, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি ভারতের সমাজকে বিভক্ত করে ফেলেছে। একে জোড়া দেওয়াই ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচির লক্ষ্য।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারত জোড়ো যাত্রা শুক্রবার মাঝপথেই বাতিল করলেন রাহুল

আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নিরাপত্তার ঘাটতির অভাবে  শুক্রবার মাঝ পথেই স্থগিত হয়ে যায় ভারত জোড়ো যাত্রা। রাহুল গান্ধির অভিযোগ, পদযাত্রাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যে পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল তা  প্রত্যাহার করার কারণেই এদিনের মতো  বাতিল হয়ে যায় যাত্রা।

শুক্রবার রাহুল গান্ধি ২০ কিলোমিটার হাঁটবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে  শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পরেই বন্ধ হয়ে যায় এদিনের যাত্রা। সেই সময় রাহুলের পাশে হাঁটছিলেন কাশ্মীরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহও। উভয়ের পরনেই ছিল সাদা টি-শার্ট।

আরও পড়ুন: ভারত বাছ-বিচার না করেই বাসিন্দাদের বিতাড়ন করছে, দরিদ্র বলে তারা আদালতে যেতে পারছে না

পদযাত্রায় উপস্থিত কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, শ্রীনগরের পথে হাঁটতে হাঁটতে বানিহাল সুড়ঙ্গ অতিক্রম করার পরই দেখা যায়, ওপারে বহু মানুষ তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছেন।

আরও পড়ুন: দু’বেলার আহার জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে গ্রামীণ ভারত: গবেষণা রিপোর্ট

দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, সেই সময় চার দিকে একজনও পুলিশকর্মীকে তারা কেউ দেখতে পাননি। এই অবস্থায় যাত্রা থামিয়ে দেওয়ার কথা বলেন রাহুলের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। তার পরেই দিনের জন্য পদযাত্রা স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুলিশের গাড়িতে তুলে রাহুলকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়।

আরও পড়ুন: ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে, কমেছে জন্মহার 

বানিহাল সুড়ঙ্গের সামনে দাঁড়িয়ে রাহুল সাংবাদিকদের বলেন, ‌‍‍যে পুলিশকর্মীদের আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের কারো দেখা নেই। আমরা সুড়ঙ্গ পেরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ল। এতে আমার নিরাপত্তারক্ষীরা আপত্তি করেন। তাই আমাকে যাত্রা স্থগিত করে দিতে হয়েছে।’  ‌

কংগ্রেস সূত্রে খবর, যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করার পরও বানিহাল সুড়ঙ্গের সামনেই প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় রাহুলকে। তার পর তাঁর জন্য গাড়ি আসে। প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবারও খারাপ আবহাওয়ার জন্য ভারত জোড়ো যাত্রা বেরোতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের ‌ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়েছিল গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে। সেখানে থেকে সারা ভারত হয়ে ৩০ জানুয়ারি পদযাত্রা শেষ হওয়ার কথা কাশ্মীরের শ্রীনগরে।

দলটির দাবি, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি ভারতের সমাজকে বিভক্ত করে ফেলেছে। একে জোড়া দেওয়াই ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচির লক্ষ্য।