বিচারকরা রাজা নন, তারা জনগণের জনসেবক: বিচারপতি গাভাই
- আপডেট : ৭ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার
- / 79
পুবের কলম, মুম্বাই: বোম্বে হাইকোর্টের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) বি আর গাভাই। শুক্রবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গোটা দেশের বিচারব্যবস্থাকে বড় বার্তা দেন তিনি। এদিন প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেছেন, যে নতুন বোম্বে হাইকোর্ট ভবনটি জেনো ন্যায়বিচারের মন্দিরে পরিণত হয়, ৭ (সেভেন স্টার) তারকা হোটেল জেনো না হয়। বান্দ্রায় (পূর্ব) নতুন কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরে প্রধান বিচারপতি তাঁর ভাষণে বলেন, আদালত ভবনটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাবে, বিলাসিতা বা রাজকীয় নকশার প্রতিফলন নয়। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে প্রকাশ্যে বির্তকির্ত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে বিচারপতিদের। এদিন বিচারপতিদের উদ্দেশ্যে গাভাই সাফ জানিয়েছেন, “বিচারকরা রাজা নন; তারা সাধারণ নাগরিকদের সেবা করার জন্য নিযুক্ত জনসেবক।”
নয়া ভবন তৈরিতে যাতে সরকারি অর্থের অপচয় না হয়, সেদিকেও নজর রাখার বার্তা দেন বিচারপতি গাভাই। তিনি বলেছেন, “আমি সংবাদপত্রে পড়েছি, নতুন ভবন তৈরিতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং ভবনটি খুবই ব্যয়বহুল। দু’জন বিচারক একটি লিফট ভাগ করে নেবেন, এটা ঠিক আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বিচারকরা রাজকীয় প্রভু নন।” একইসঙ্গে তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে বিচার বিভাগ, সরকার এবং আইনসভা সকলেই জনগণের সেবা এবং ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ। একটি সহজ এবং মর্যাদাপূর্ণ নকশা তৈরির আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, “যখন আমরা আদালত ভবন তৈরির পরিকল্পনা করি, তখন আমরা প্রায়শই বিচারকদের চাহিদার উপর মনোযোগ দিই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, যে আমরা নাগরিক এবং মামলাকারীদের জন্য বিদ্যমান। এই ভবনটি ন্যায়বিচারের মন্দির হওয়া উচিত, ৭-তারকা হোটেল নয়।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি বি আর গাভাই। আগামী ২৪ নভেম্বর সিজেআই পদ থেকে অবসর নেবেন তিনি। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিচারপতি গাভাই বলেন, মহারাষ্ট্রের বিচার বিভাগীয় পরিকাঠামোর অগ্রগতিতে তিনি খুশি এবং দেশের অন্যতম সেরা আদালত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তাঁর মেয়াদ শেষ করতে পেরে তিনি গর্বিত। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে দেশের একাধিক আদালতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। সবমিলিয়ে অবসরের আগে বিচারব্যবস্থার প্রতি দেশের জনগণের আস্থা যাতে বজায় থাকে ঘুরিয়ে এদিন সেই বার্তায় দিলেন দেশের প্রথম দলিত প্রধান বিচারপতি।













































