০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসেই ভরসা মিলেছে, গ্রামে ফিরছে বগটুই গ্রামের ঘরছাড়ারা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 56

কৌশিক সালুই, বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন তার জন্য দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যার আক্রান্ত ঘরছাড়া পরিবার। শনিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এর গোপালজল গ্রামে আশ্রয় নেওয়া মিহিনাল শেখ ও তার পরিবারের হাতে বকেয়া আর্থিক সাহায্যের চেক ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। তখনই মিহিলাল তার নিজের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

বগটুই গণহত্যায় অন্যতম আক্রান্ত মিহিলাল শেখের দাবিকে মান্যতা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার দাবি মত ইতিমধ্যেই রামপুরহাট এক ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গণহত্যার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন: নেপালে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, ‘কেউ যেন অশান্তিতে জড়িয়ে না পড়েন,’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

এদিন গোপালজল গ্রামে আশ্রয় নেওয়া সেই সমস্ত আক্রান্ত পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী এবং গৃহনির্মাণের বকেয়া আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আক্রান্তদের ২৪  ঘন্টার পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। গণহত্যার ঘটনার রাতে কয়েকজন বগটুই গ্রাম থেকে ওই গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে চলে এসেছেন প্রাণের ভয়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা করার পর ফের গোপালজল গ্রামে ফিরে এসেছেন তারা। যেহেতু তাদের নিরাপত্তার জন্য চব্বিশ ঘন্টাই পুলিশি প্রহরা রয়েছে তাই বেঁচে যাওয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে মিহিলাল দ্রুত নিজের গ্রামে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: ভিন রাজ্য নয়, এই রাজ্যেই বাঙালি বলে কারখানা থেকে বের করে দিল কর্তৃপক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

রামপুরহাট এক ব্লকের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিক সুবীর কুমার দে বলেন, “গণহত্যায় আক্রান্ত পরিবারের হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে এছাড়াও গৃহনির্মাণের জন্য অর্থ রাশির চেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্তদের দ্রুত গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে”।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সন্দেশখালির আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদকে

মিহিলাল শেখ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ। আমরা দ্রুত নিজের গ্রামে ফিরে যেতে চাই। রাজ্য সরকারের ওপর আমাদের সম্পূর্ণরূপে আস্থা এবং ভরসা আছে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসেই ভরসা মিলেছে, গ্রামে ফিরছে বগটুই গ্রামের ঘরছাড়ারা

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন তার জন্য দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যার আক্রান্ত ঘরছাড়া পরিবার। শনিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এর গোপালজল গ্রামে আশ্রয় নেওয়া মিহিনাল শেখ ও তার পরিবারের হাতে বকেয়া আর্থিক সাহায্যের চেক ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। তখনই মিহিলাল তার নিজের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

বগটুই গণহত্যায় অন্যতম আক্রান্ত মিহিলাল শেখের দাবিকে মান্যতা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার দাবি মত ইতিমধ্যেই রামপুরহাট এক ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গণহত্যার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন: নেপালে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, ‘কেউ যেন অশান্তিতে জড়িয়ে না পড়েন,’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

এদিন গোপালজল গ্রামে আশ্রয় নেওয়া সেই সমস্ত আক্রান্ত পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী এবং গৃহনির্মাণের বকেয়া আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আক্রান্তদের ২৪  ঘন্টার পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। গণহত্যার ঘটনার রাতে কয়েকজন বগটুই গ্রাম থেকে ওই গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে চলে এসেছেন প্রাণের ভয়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা করার পর ফের গোপালজল গ্রামে ফিরে এসেছেন তারা। যেহেতু তাদের নিরাপত্তার জন্য চব্বিশ ঘন্টাই পুলিশি প্রহরা রয়েছে তাই বেঁচে যাওয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে মিহিলাল দ্রুত নিজের গ্রামে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: ভিন রাজ্য নয়, এই রাজ্যেই বাঙালি বলে কারখানা থেকে বের করে দিল কর্তৃপক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

রামপুরহাট এক ব্লকের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিক সুবীর কুমার দে বলেন, “গণহত্যায় আক্রান্ত পরিবারের হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে এছাড়াও গৃহনির্মাণের জন্য অর্থ রাশির চেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্তদের দ্রুত গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে”।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা সন্দেশখালির আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদকে

মিহিলাল শেখ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ। আমরা দ্রুত নিজের গ্রামে ফিরে যেতে চাই। রাজ্য সরকারের ওপর আমাদের সম্পূর্ণরূপে আস্থা এবং ভরসা আছে।’