স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, ‘সেলফি’ তুলে হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস যুবকের
- আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার
- / 47
পুবের কলম, কোইম্বাটোর: প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন। তারপর মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট। এজেনো সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়। এমনই এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড দেখে শিউরে উঠেছেন প্রতিবেশীরা। রবিবার ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। জানা গিয়েছে, তিরুনেলভেলি জেলার মেলাপালায়মের থারুভাইয়ের বাসিন্দা বি শ্রীপ্রিয়ার বিয়ে হয়েছিল বছর বত্তত্রিশের বালামুরুগানের। বিয়ের কয়েক বছর পরই দাম্পত্য কলহ শুরু দম্পতির। সাংসারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে কোয়েম্বাটুরের গণপতিতে বাবার বাড়ি চলে যান শ্রীপ্রিয়া। সেখানে মায়ের কাছে তার সন্তানদের রেখে শহরে কাজে চলে আসেন। শহরের একটি দোকানে কাজ করতেন এবং গান্ধীপুরমের কাছে এক বেসরকারি মহিলা হোস্টেলে থাকতেন মহিলা। পুলিশ জানায়, বালামুরুগান দাবি করেছেন যে শ্রীপ্রিয়া তার এক আত্মীয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল। এখান থেকেই ঘটনার শত্রুপাত। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে মহিলা হোস্টেলে গিয়ে তার স্ত্রীর ঘরে ঢোকে বালামুরুগান। কেনো সে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল! এই প্রশ্ন নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাধে। শ্রীপ্রিয়া স্পষ্ট করে জানায়, সে তার সঙ্গে সংসার করতে পারবে না। এরপরই রাগে আঠাশ বছর বয়সী স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে বালামুরুগান। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মৃতদেহের সঙ্গে একটি ‘সেলফি’ তোলেন এবং সেটি হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস দেয়। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক পুলিশ কর্তা বলেন, রবিবার সকালে কোয়েম্বাটুরে পৌঁছেছিলেন অভিযুক্ত এবং একটি কাস্তে নিয়ে শ্রীপ্রিয়ার হোস্টেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন। অভিযুক্ত তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। তারপরই কাস্তে বের করে শ্রীপ্রিয়াকে কুপিয়ে খুন করে। এদিকে খুনের ঘটনা জানাজানি হতেই মহিলা হোস্টেলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ভয়ে হোস্টেলে ছোটাছুটি শুরু করেন মহিলারা। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কোয়েম্বাটুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করে আরও তদন্ত শুরু হয়েছে।


















