১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোচবিহারে ‘পাশে থাকা’র সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই দিনে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যস্ততা

 

এসআইআর নিয়ে রাজ্যজুড়ে তৈরি হওয়া আতঙ্ক দূর করতে ‘পাশে থাকা’র সফরে আবারও উত্তরবঙ্গমুখী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে কোচবিহারে পৌঁছে তিনি বিকেল ৪টে রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। জেলার উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি, বন্যা-ধসের ক্ষয়ক্ষতির পর পুনর্গঠনের পদক্ষেপ—সবকিছুরই বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে এই বৈঠকে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বকেয়া প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করতে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিতে পারেন।

মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর দুপুরে কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই তৃণমূল সুপ্রিমো নিজের বক্তব্য রাখবেন এবং এসআইআর-সংক্রান্ত ভরসার বার্তা আরও জোরদার করবেন।

বনগাঁ থেকে মালদহ—এসআইআর বিরোধী প্রচারে যেখানেই গিয়েছেন, মমতার একটাই বার্তা:
“আমি ভোট চাইতে আসিনি, শুধু আপনাদের পাশে থাকতে এসেছি। ভয় পাবেন না, আমি থাকতে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে না। যে কায়দায় এসআইআরের কাজ চলছে তা অবৈজ্ঞানিক, তিন বছরের কাজ তিন মাসে হয় না। তাই এই মৃত্যুমিছিল বন্ধ হোক।”

এসআইআর নিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক হিসেব ডগমগ করে দিতে তৃণমূল মাঠে নেমেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। জনসমাগমও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে—বনগাঁ, মালদহ, মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করেছে মানুষের উদ্বেগ এবং মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা।

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে বন্যা–ধসের বিপর্যয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনবার এলেও কোচবিহার সফর বাকি ছিল। এবার দুই দিনের এই সফরে তিনি জেলার সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করা, উন্নয়নমূলক কাজের গতি বাড়ানো এবং সংগঠনের শক্তি পরীক্ষা—সব দিক থেকেই নজর রাখবেন।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এসআইআরের প্রক্রিয়া শেষ হতেই ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাজ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতে পারে। তার আগে তৃণমূল নেত্রী নিজের মতো করে “ঘর গোছানো” শুরু করে দিয়েছেন। কোচবিহার সফর শেষে তিনি ফিরে ১১ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরে আরেকটি সভা করবেন—সেখানেও থাকবে “পাশে থাকার” বার্তাই।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

২০২৫ সাল বিশ্বে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর হতে পারে: কোপার্নিকাসের পূর্বাভাস

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কোচবিহারে ‘পাশে থাকা’র সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই দিনে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যস্ততা

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার

 

এসআইআর নিয়ে রাজ্যজুড়ে তৈরি হওয়া আতঙ্ক দূর করতে ‘পাশে থাকা’র সফরে আবারও উত্তরবঙ্গমুখী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে কোচবিহারে পৌঁছে তিনি বিকেল ৪টে রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। জেলার উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি, বন্যা-ধসের ক্ষয়ক্ষতির পর পুনর্গঠনের পদক্ষেপ—সবকিছুরই বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে এই বৈঠকে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বকেয়া প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করতে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিতে পারেন।

মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর দুপুরে কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই তৃণমূল সুপ্রিমো নিজের বক্তব্য রাখবেন এবং এসআইআর-সংক্রান্ত ভরসার বার্তা আরও জোরদার করবেন।

বনগাঁ থেকে মালদহ—এসআইআর বিরোধী প্রচারে যেখানেই গিয়েছেন, মমতার একটাই বার্তা:
“আমি ভোট চাইতে আসিনি, শুধু আপনাদের পাশে থাকতে এসেছি। ভয় পাবেন না, আমি থাকতে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে না। যে কায়দায় এসআইআরের কাজ চলছে তা অবৈজ্ঞানিক, তিন বছরের কাজ তিন মাসে হয় না। তাই এই মৃত্যুমিছিল বন্ধ হোক।”

এসআইআর নিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক হিসেব ডগমগ করে দিতে তৃণমূল মাঠে নেমেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। জনসমাগমও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে—বনগাঁ, মালদহ, মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করেছে মানুষের উদ্বেগ এবং মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা।

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে বন্যা–ধসের বিপর্যয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনবার এলেও কোচবিহার সফর বাকি ছিল। এবার দুই দিনের এই সফরে তিনি জেলার সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করা, উন্নয়নমূলক কাজের গতি বাড়ানো এবং সংগঠনের শক্তি পরীক্ষা—সব দিক থেকেই নজর রাখবেন।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এসআইআরের প্রক্রিয়া শেষ হতেই ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাজ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতে পারে। তার আগে তৃণমূল নেত্রী নিজের মতো করে “ঘর গোছানো” শুরু করে দিয়েছেন। কোচবিহার সফর শেষে তিনি ফিরে ১১ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরে আরেকটি সভা করবেন—সেখানেও থাকবে “পাশে থাকার” বার্তাই।