১৪ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিকাশ ভবনের ডিএমই দফতরে হাজিরা, আরও এক মাস সময় চাইল কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকরা

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, বুধবার
  • / 86

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আদালতের নির্দেশ ছিল, আবু মোতালিব মাদ্রাসায় কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত প্রার্থীদের তথ্য খতিয়ে দেখে নিয়োগের বৈধতার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নেবে ডায়রেক্টরেট অফ মাদ্রাসা এডুকেশন (ডিএমই)। সেইমতো প্রার্থীরা বুধবার সশরীরে তথ্য যাচাইয়ের জন্য বিকাশ ভবনের ডিএমই দফতরে হাজির হন।

শুনানির পর এ দিন ডায়রেক্টরেট অফ মাদ্রাসা এডুকেশন আবিদ হোসেন বলেন, হাওড়ার আবু মোতালিব মাদ্রাসার ১৩ জন কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকের কাছে আদালতের নির্দেশমতো তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু আরও কিছু তথ্যের জন্য ওই প্রার্থীরা আরও এক মাস সময় নেন। আরও এক মাস তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। তার পর পুনরায় তাদের দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: অবস্থান বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে মিছিল: রাস্তায় বসেই পাঠ দিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা

এ দিন তাদের কাছে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, সেই তথ্য আদালতকে জানিয়েছে ওই প্রার্থীরা। আবিদ হোসেন বলেন, ডিএমই দফতরকে আদালত বলেছে, নিয়োগের বৈধতা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ডিএমই। তাই আবিদ হোসেন বলেন, আরও এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তারপরই কমিটির মাধ্যমে মাদ্রাসা নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন: আন্দোলন না করে স্কুলে ফিরুন চাকরি হারা শিক্ষকরা, আর্জি ফিরহাদের

এ দিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর এই শিক্ষকদের তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ ডিএমইকে দেয় আদালত। ১৪ দিনের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও কেন ডিএমই দফতরে হেয়ারিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হল না, এই নিয়ে বহু শিক্ষক প্রশ্ন তুলছেন।

আরও পড়ুন: বেআইনি বাজি কারবার রুখতে নবান্নের নির্দেশে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

গত জানুয়ারি মাসে আবু মোতালিব মাদ্রাসায় ন’জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকের বদলি করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। কিন্তু ওই শূন্য পদগুলিতে কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল ওই মাদ্রাসায়। কিন্তু সেই তথ্য মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়নি।

এ দিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করা হলে রাজ্য সরকারের শর্ত ও নির্দেশিকা মানতে হবে। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে অনেকেই অভিযোগ করেন, মাদ্রাসায় কীভাবে ‘ব্যাক ডেড’ দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়ে মাদ্রাসাগুলির সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের তথ্য আদান-প্রদানে বহু পার্থক্য রয়েছে বলে মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই অভিযোগ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিকাশ ভবনের ডিএমই দফতরে হাজিরা, আরও এক মাস সময় চাইল কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকরা

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আদালতের নির্দেশ ছিল, আবু মোতালিব মাদ্রাসায় কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত প্রার্থীদের তথ্য খতিয়ে দেখে নিয়োগের বৈধতার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নেবে ডায়রেক্টরেট অফ মাদ্রাসা এডুকেশন (ডিএমই)। সেইমতো প্রার্থীরা বুধবার সশরীরে তথ্য যাচাইয়ের জন্য বিকাশ ভবনের ডিএমই দফতরে হাজির হন।

শুনানির পর এ দিন ডায়রেক্টরেট অফ মাদ্রাসা এডুকেশন আবিদ হোসেন বলেন, হাওড়ার আবু মোতালিব মাদ্রাসার ১৩ জন কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকের কাছে আদালতের নির্দেশমতো তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু আরও কিছু তথ্যের জন্য ওই প্রার্থীরা আরও এক মাস সময় নেন। আরও এক মাস তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। তার পর পুনরায় তাদের দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: অবস্থান বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে মিছিল: রাস্তায় বসেই পাঠ দিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা

এ দিন তাদের কাছে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, সেই তথ্য আদালতকে জানিয়েছে ওই প্রার্থীরা। আবিদ হোসেন বলেন, ডিএমই দফতরকে আদালত বলেছে, নিয়োগের বৈধতা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ডিএমই। তাই আবিদ হোসেন বলেন, আরও এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তারপরই কমিটির মাধ্যমে মাদ্রাসা নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন: আন্দোলন না করে স্কুলে ফিরুন চাকরি হারা শিক্ষকরা, আর্জি ফিরহাদের

এ দিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর এই শিক্ষকদের তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ ডিএমইকে দেয় আদালত। ১৪ দিনের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও কেন ডিএমই দফতরে হেয়ারিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হল না, এই নিয়ে বহু শিক্ষক প্রশ্ন তুলছেন।

আরও পড়ুন: বেআইনি বাজি কারবার রুখতে নবান্নের নির্দেশে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

গত জানুয়ারি মাসে আবু মোতালিব মাদ্রাসায় ন’জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকের বদলি করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। কিন্তু ওই শূন্য পদগুলিতে কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল ওই মাদ্রাসায়। কিন্তু সেই তথ্য মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়নি।

এ দিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করা হলে রাজ্য সরকারের শর্ত ও নির্দেশিকা মানতে হবে। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে অনেকেই অভিযোগ করেন, মাদ্রাসায় কীভাবে ‘ব্যাক ডেড’ দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়ে মাদ্রাসাগুলির সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের তথ্য আদান-প্রদানে বহু পার্থক্য রয়েছে বলে মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই অভিযোগ।