০৭ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত আসারামের জামিন, উমর খালিদের বেলায় জামিন মামলা স্থগিত

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 186

পুবের কলম, নয়াদিল্লি: জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের জামিন মামলার সময় পিছিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ছাত্রনেতার জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ করার জন্য সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেছে। একইদিনে গুজরাট হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৩ সালের একটি মামলায় ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত আসারামকে ছয় মাসের সাজা স্থগিত করেছে। বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও বিচারপতি এন ভি আনজারিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ মামলার শুনানি স্থগিত রেখেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আসারামের আশ্রমে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে যোধপুরের একটি দায়রা আদালত আসারামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। চলতি বছরের গত মাসে রাজস্থান হাইকোর্ট আসারামকে সাজা স্থগিত করে জামিনে মুক্তি দেয়। আদালত তার উদ্ভিজ্জ অবস্থা এবং তার অবস্থার চিকিৎসার জন্য কারাগারে চিকিৎসা সুবিধার অভাব বিবেচনা করে আপিলটি মঞ্জুর করে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে, যাতে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। ওই ঘটনায় উমরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই থেকে তিনি জেলে আছেন। এর আগে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করা হলেও আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে দেশের শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয় তারা। দিল্লি দাঙ্গার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত পাঁচ বছর ধরে বিনা বিচারে জেলবন্দি উমর-শারজিলদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। দিল্লি পুলিশ তাদের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছিল, যে এটি স্বতঃস্ফূর্ত দাঙ্গার ঘটনা নয়, বরং এমন একটি মামলা যেখানে দাঙ্গা অশুভ উদ্দেশ্য এবং সুচিন্তিত ষড়যন্ত্র নিয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টেরও তাদের জামিন মামলা দিনের পর দিন পিছোচ্ছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত আসারামের জামিন, উমর খালিদের বেলায় জামিন মামলা স্থগিত

আপডেট : ৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, নয়াদিল্লি: জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের জামিন মামলার সময় পিছিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ছাত্রনেতার জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ করার জন্য সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেছে। একইদিনে গুজরাট হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৩ সালের একটি মামলায় ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত আসারামকে ছয় মাসের সাজা স্থগিত করেছে। বিচারপতি অরবিন্দ কুমার ও বিচারপতি এন ভি আনজারিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ মামলার শুনানি স্থগিত রেখেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আসারামের আশ্রমে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে যোধপুরের একটি দায়রা আদালত আসারামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। চলতি বছরের গত মাসে রাজস্থান হাইকোর্ট আসারামকে সাজা স্থগিত করে জামিনে মুক্তি দেয়। আদালত তার উদ্ভিজ্জ অবস্থা এবং তার অবস্থার চিকিৎসার জন্য কারাগারে চিকিৎসা সুবিধার অভাব বিবেচনা করে আপিলটি মঞ্জুর করে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে, যাতে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০-র বেশি। ওই ঘটনায় উমরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই থেকে তিনি জেলে আছেন। এর আগে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করা হলেও আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে দেশের শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয় তারা। দিল্লি দাঙ্গার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত পাঁচ বছর ধরে বিনা বিচারে জেলবন্দি উমর-শারজিলদের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। দিল্লি পুলিশ তাদের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছিল, যে এটি স্বতঃস্ফূর্ত দাঙ্গার ঘটনা নয়, বরং এমন একটি মামলা যেখানে দাঙ্গা অশুভ উদ্দেশ্য এবং সুচিন্তিত ষড়যন্ত্র নিয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টেরও তাদের জামিন মামলা দিনের পর দিন পিছোচ্ছে।