অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ এখনও আতঙ্কে
- আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 166
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার এক মাস কেটে গেলেও এখনও ভয় ও মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেননি ওই বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাসকুমার রমেশ। বর্তমানে ঘোরের মধ্যে দিন কাটছে তাঁর। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য অনুযায়ী, কারও সঙ্গে কথা বলছেন না রমেশ, এমনকি কাছের আত্মীয়দের সঙ্গেও নয়। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ইতিমধ্যে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এই তথ্য সংবাদ সংস্থা PTI-কে জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয়েরা।
১২ জুন অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ভাই অজয় রমেশ-এর সঙ্গে লন্ডনের গ্যাটউইক-এর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রমেশ। তিনি ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমানটির ১১এ নম্বর আসনে। রানওয়ে থেকে ওড়ার মাত্র ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বহুতলে ধাক্কা মারে এবং সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ে ও বিস্ফোরিত হয়। ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র একজন—বিশ্বাসকুমার রমেশ—এই দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যান। তাঁর ভাই অজয়-সহ বাকিরা নিহত হন।
রমেশের তুতো ভাই সানি রমেশ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর থেকে রমেশ রাতে ঘুমোতে পারেন না। প্রায়শই বার বার জেগে ওঠেন এবং আতঙ্কে থাকেন। সানির কথায়, “ঘটনার পর বহু মানুষ ফোন করেছেন রমেশের খোঁজ নিতে। অনেকে ওঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। এমনকি বিদেশে থাকা আত্মীয়রাও ফোন করেছিলেন বারবার। কিন্তু রমেশ কারও সঙ্গে কথা বলেননি। বিমানের দুর্ঘটনা এবং ভাইয়ের মৃত্যুর ট্রমা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।”
সানি আরও জানান, “রাত্রে ঘুমের সমস্যা এতটাই বেড়েছে যে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রমেশকে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আপাতত লন্ডনে ফেরার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর।”
ঘটনার পর দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজেই বেরিয়ে পাশের রাস্তা ধরে হেঁটে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত পৌঁছান রমেশ। কী ভাবে তিনি বেঁচে গেলেন, সেটাও এখনও তাঁর কাছে বিস্ময়। দুর্ঘটনার পর পাঁচ দিন ধরে তিনি অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ১৭ জুন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেদিন হাসপাতালে রমেশকে দেখতে যান এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। রমেশ জানিয়েছিলেন, তিনি বিমানের যে দিকে বসেছিলেন, সেটি দুর্ঘটনার সময় একটি হস্টেলের একতলায় গিয়ে পড়ে। ভাগ্যক্রমে একটি ভাঙা দরজা দিয়ে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।





































