০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করা হচ্ছে: ‘সঞ্চার সাথী’ অ্যাপ নিয়ে নিশানা প্রিয়াঙ্কার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সব স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলকভাবে ইনস্টল করতে হবে সরকারি অ্যাপ ‘সঞ্চার সাথী’। ২৮ নভেম্বর বড় বড় স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় টেলিকমিউনিকেশন দফতর। বলা হয়েছে, ফোন তৈরির সময়ই প্রি-ইনস্টল রাখতে হবে এই অ্যাপ। আগামী ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যেই কার্যকর করতে হবে এই প্রক্রিয়া। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে নিয়ে ফুঁসে উঠলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দেশকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ। সঞ্চার সাথী অ্যাপকে “স্নুপিং অ্যাপ” হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেত্রী বলেন, “এটি একটি স্নুপিং অ্যাপ। স্পষ্টতই এটি হাস্যকর। নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে। এই অ্যাপ ফোনে দেওয়ার মধ্যদিয়ে ফোনে নজরদারি চালাবে তারা।” কেন্দ্রকে তোপ দেগে প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, “এটা শুধু একটি অ্যাপ নয়, শুধু ফোনে গুপ্তচরবৃত্তি করবে তা নয়। সব মিলিয়ে তারা এই দেশকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করছে।”

নকল IMEI–যুক্ত ফোন, চুরি যাওয়া ডিভাইস ও অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত মোবাইল সনাক্ত করতে ‘সঞ্চার সাথী’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে দাবি করেছে সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চালুর পর অ্যাপটির সাহায্যে ৭ লক্ষেরও বেশি ফোন উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে এই নির্দেশকে ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধীরা। পেগাসাস বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের অভিযোগ, সুরক্ষার নামে এটি আসলে নজরদারির নতুন হাতিয়ার। তৃণমূলের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এটা আগ্রাসী ফ্যাসিবাদী মনোভাব, নজরদারি কায়েমের চেষ্টা।” কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালের অভিযোগ, “নাগরিকের প্রতিটি পদক্ষেপ ও কথোপকথনে নজরদারির প্রয়াস।” প্রযুক্তি-আইন বিশেষজ্ঞদেরও উদ্বেগ রয়েছে। ইন্টারনেট অধিকারকর্মী মিশি চৌধুরীর মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ব্যবহারকারীর সম্মতিকে অর্থহীন করে দিচ্ছে। রাশিয়া ‘ম্যাক্স’ অ্যাপ বাধ্যতামূলক করায় যেমন সমালোচিত হয়েছিল, ভারতের ক্ষেত্রেও সেই বিতর্ক নতুন করে উসকে উঠেছে। এখন নজর সকলেরই,অ্যাপল-সহ বড় সংস্থাগুলি এই নির্দেশে কী প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সাধারণ মানুষের ডিজিটাল গোপনীয়তা কতটা সুরক্ষিত থাকে।

আরও পড়ুন: ভাই ভীত নয়ঃ প্রিয়াঙ্কা

আরও পড়ুন:  ভারত জোড়ো যাত্রা’র শেষ দিনে বরফ নিয়ে খেললেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা,  ১৩৫ দিনের দীর্ঘ পদযাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠান আজ

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেশকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করা হচ্ছে: ‘সঞ্চার সাথী’ অ্যাপ নিয়ে নিশানা প্রিয়াঙ্কার

আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সব স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলকভাবে ইনস্টল করতে হবে সরকারি অ্যাপ ‘সঞ্চার সাথী’। ২৮ নভেম্বর বড় বড় স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় টেলিকমিউনিকেশন দফতর। বলা হয়েছে, ফোন তৈরির সময়ই প্রি-ইনস্টল রাখতে হবে এই অ্যাপ। আগামী ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যেই কার্যকর করতে হবে এই প্রক্রিয়া। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে নিয়ে ফুঁসে উঠলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দেশকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ। সঞ্চার সাথী অ্যাপকে “স্নুপিং অ্যাপ” হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেত্রী বলেন, “এটি একটি স্নুপিং অ্যাপ। স্পষ্টতই এটি হাস্যকর। নাগরিকদের গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে। এই অ্যাপ ফোনে দেওয়ার মধ্যদিয়ে ফোনে নজরদারি চালাবে তারা।” কেন্দ্রকে তোপ দেগে প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, “এটা শুধু একটি অ্যাপ নয়, শুধু ফোনে গুপ্তচরবৃত্তি করবে তা নয়। সব মিলিয়ে তারা এই দেশকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করছে।”

নকল IMEI–যুক্ত ফোন, চুরি যাওয়া ডিভাইস ও অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত মোবাইল সনাক্ত করতে ‘সঞ্চার সাথী’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে দাবি করেছে সরকার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চালুর পর অ্যাপটির সাহায্যে ৭ লক্ষেরও বেশি ফোন উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে এই নির্দেশকে ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধীরা। পেগাসাস বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের অভিযোগ, সুরক্ষার নামে এটি আসলে নজরদারির নতুন হাতিয়ার। তৃণমূলের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এটা আগ্রাসী ফ্যাসিবাদী মনোভাব, নজরদারি কায়েমের চেষ্টা।” কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালের অভিযোগ, “নাগরিকের প্রতিটি পদক্ষেপ ও কথোপকথনে নজরদারির প্রয়াস।” প্রযুক্তি-আইন বিশেষজ্ঞদেরও উদ্বেগ রয়েছে। ইন্টারনেট অধিকারকর্মী মিশি চৌধুরীর মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ব্যবহারকারীর সম্মতিকে অর্থহীন করে দিচ্ছে। রাশিয়া ‘ম্যাক্স’ অ্যাপ বাধ্যতামূলক করায় যেমন সমালোচিত হয়েছিল, ভারতের ক্ষেত্রেও সেই বিতর্ক নতুন করে উসকে উঠেছে। এখন নজর সকলেরই,অ্যাপল-সহ বড় সংস্থাগুলি এই নির্দেশে কী প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সাধারণ মানুষের ডিজিটাল গোপনীয়তা কতটা সুরক্ষিত থাকে।

আরও পড়ুন: ভাই ভীত নয়ঃ প্রিয়াঙ্কা

আরও পড়ুন:  ভারত জোড়ো যাত্রা’র শেষ দিনে বরফ নিয়ে খেললেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা,  ১৩৫ দিনের দীর্ঘ পদযাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠান আজ