পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইন্ডিগোর সঙ্কট যেন কাটছেই না। টানা ছ’দিনের অব্যবস্থার পর সপ্তম দিনেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। ইন্ডিগোর বিপর্যয় নিয়ে কেনো মুখ খুলছে না কেন্দ্র! প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। অবশেষে যাত্রী হেনস্থা নিয়ে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দৈনিক অন্তত ১১০টি উড়ান কেড়ে নেওয়া হতে পারে ইন্ডিগোর থেকে। অন্য যেসমস্ত উড়ান সংস্থার পরিস্থিতি ঠিক আছে, তাদেরকে এই উড়ান পরিচালনার ভার দিতে পারে কেন্দ্র, এমনটাই খবর জানা গিয়েছে।
সোমবার বিরোধীরা দাবি করেন, ইন্ডিগোর পরিষেবা বিপর্যয় নিয়ে কেন্দ্র কি করছে! দেশজুড়ে বিভিন্ন বিমানবন্দরে বহু মানুষ চরম অসুবিধার মুখে পড়েছেন, তা নিয়ে কেন্দ্র চুপ কেনো! লোকসভায় দাঁড়িয়ে সরব হন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, “আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি, যে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এই সংসদের মাধ্যমে দেশকে জানাক, যে কেনো দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। অনেকেই ডায়ালাইসিস রোগী রয়েছেন। অনেকের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে, অনেকে নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন। বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন হওয়ায় বহু মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।”
মঙ্গলবার দেশের অন্যান্য উড়ান সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, ৫ শতাংশ অর্থাৎ দৈনিক ১১০টি উড়ান আপাতত হারাতে চলেছে ইন্ডিগো। কয়েকদিন পরে আরও ৫ শতাংশ উড়ান কেড়ে নেওয়া হবে ইন্ডিগোর থেকে। উড়ান কেড়ে নেওয়া ছাড়াও ইন্ডিগোর উপর বড়সড় জরিমানা বসানো হতে পারে।
প্রসঙ্গত, সোমবারও বাতিল করা হয় ১৩৪টি উড়ান—এর মধ্যে ৫৯টি আগমন এবং ৭৫টি প্রস্থান। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বাতিল ১২৭টি, চেন্নাইয়ে ৭১টি, অহমদাবাদে ২০টি উড়ান। বিশাখাপত্তনম, কলকাতা ও মুম্বই থেকেও একাধিক ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল হয়। এদিন ইন্ডিগোর বিপর্যয় নিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে গগৈ বলেন, “আমাদের বলা হয়েছিল, যে হাওয়াই চপ্পল পরা ব্যক্তিরাও বিমানে ভ্রমণ করবেন। কিন্তু আজ বিমান ভাড়া কুড়ি হাজার টাকা বেড়েছে। কফি বিমানবন্দরে ২৫০ টাকা। আজ দেশজুড়ে বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত। কি হচ্ছে? আমাদের জানানো উচিত সরকারের।”





























