০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘দিদি টাকা পাচ্ছি’, হাড়োয়াতে প্রচারচলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে আবেগে ভাসলেন মহিলারা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, শনিবার
  • / 27

রফিকুল হাসান, হাড়োয়া: উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাড়োয়াতে সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম এর সমর্থনে এই সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

'দিদি টাকা পাচ্ছি', হাড়োয়াতে প্রচারচলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' নিয়ে আবেগে ভাসলেন মহিলারা

মূলত লক্ষ্মীর ভান্ডারের টানে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলেন অনেক মহিলারা। হাড়োয়ার পাশে বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এসেছিলেন মমতা বিবি। একগাল হাসি নিয়ে তিনি বলে,  লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছি। দিদি আমাদের টাকা দিচ্ছেন, আর দিদিকে দেখতে আসব না তা কখনো হয়। স্বামীহারা মমতা বিবি আরো জানান, রেশনের চাল পাচ্ছি। দিদি আবার বললেন পানীয় জল বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আর কত কী দেবেন দিদি, এক গাল হেসে এমনটাই জানালেন মমতা। তাঁর সঙ্গেই এসেছিলেন সায়রা বানু। সায়রা বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছি। আমাদের সংসারের অনেক কাজে লাগছে। সায়রা আরো বলেন আমার ছয় বছরের নাতি হাসিব ইসলামকেও নিয়ে এসেছি। ও দিদিকে দেখবে বলে আসার সময় কান্না করছিল, তাই সাথে নিয়ে এসেছি।

মালঞ্চের কালীবাড়ি থেকে এসেছিলেন বছর ৬৩ এর কমলা পাত্র। স্বামী নেই, ঘরও নেই। আক্ষেপের সুরে আরো বলেন, বেকার ভাতা পাচ্ছি না। সবাই বলছে, মোদি ঘর দিচ্ছে না। তাই মমতার কাছে এসেছি। পাকা বাড়ি, বেকার ভাতা সবই পাওয়ার আশায়, এমনটাই জানালেন কমলা পাত্র। কমলার সঙ্গে এসেছিলেন সুবলা পাত্র। তিনি চওড়া হাসি দিয়ে বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার পাই। ঘরও পেয়েছি। তাই দিদিকে দেখতে এসেছি। দিদির কথা শুনতে এসেছি।

'দিদি টাকা পাচ্ছি', হাড়োয়াতে প্রচারচলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' নিয়ে আবেগে ভাসলেন মহিলারা

 

এদিন দুর্যোগের কারণে সভা ভেঙে যাওয়ার কথা বলেও ফের সভা হয়। তারপরও মহিলাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। এদিন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা বলতেই মহিলাদের উচ্চ আওয়াজে সভাস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে। নেত্রী মঞ্চ ছাড়ার সময় মহিলারা হাত উঠিয়ে হাত নাড়িয়ে যেন বলতে থাকেন দিদি আবার আসবেন। আমরা আপনারই সঙ্গে আছি।

অন্যদিকে এদিনের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন মিনাখার বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। মঞ্চে দাঁড়িয়েই মন্ত্রী সুজিত বসু ও হাজী নুরুল ইসলামদের নির্দেশ দেন নতুন করে সব সাজাতে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দলের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি নয়। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলবে, তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘দিদি টাকা পাচ্ছি’, হাড়োয়াতে প্রচারচলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে আবেগে ভাসলেন মহিলারা

আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, শনিবার

রফিকুল হাসান, হাড়োয়া: উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাড়োয়াতে সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম এর সমর্থনে এই সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

'দিদি টাকা পাচ্ছি', হাড়োয়াতে প্রচারচলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' নিয়ে আবেগে ভাসলেন মহিলারা

মূলত লক্ষ্মীর ভান্ডারের টানে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলেন অনেক মহিলারা। হাড়োয়ার পাশে বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এসেছিলেন মমতা বিবি। একগাল হাসি নিয়ে তিনি বলে,  লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছি। দিদি আমাদের টাকা দিচ্ছেন, আর দিদিকে দেখতে আসব না তা কখনো হয়। স্বামীহারা মমতা বিবি আরো জানান, রেশনের চাল পাচ্ছি। দিদি আবার বললেন পানীয় জল বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আর কত কী দেবেন দিদি, এক গাল হেসে এমনটাই জানালেন মমতা। তাঁর সঙ্গেই এসেছিলেন সায়রা বানু। সায়রা বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছি। আমাদের সংসারের অনেক কাজে লাগছে। সায়রা আরো বলেন আমার ছয় বছরের নাতি হাসিব ইসলামকেও নিয়ে এসেছি। ও দিদিকে দেখবে বলে আসার সময় কান্না করছিল, তাই সাথে নিয়ে এসেছি।

মালঞ্চের কালীবাড়ি থেকে এসেছিলেন বছর ৬৩ এর কমলা পাত্র। স্বামী নেই, ঘরও নেই। আক্ষেপের সুরে আরো বলেন, বেকার ভাতা পাচ্ছি না। সবাই বলছে, মোদি ঘর দিচ্ছে না। তাই মমতার কাছে এসেছি। পাকা বাড়ি, বেকার ভাতা সবই পাওয়ার আশায়, এমনটাই জানালেন কমলা পাত্র। কমলার সঙ্গে এসেছিলেন সুবলা পাত্র। তিনি চওড়া হাসি দিয়ে বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার পাই। ঘরও পেয়েছি। তাই দিদিকে দেখতে এসেছি। দিদির কথা শুনতে এসেছি।

'দিদি টাকা পাচ্ছি', হাড়োয়াতে প্রচারচলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' নিয়ে আবেগে ভাসলেন মহিলারা

 

এদিন দুর্যোগের কারণে সভা ভেঙে যাওয়ার কথা বলেও ফের সভা হয়। তারপরও মহিলাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। এদিন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা বলতেই মহিলাদের উচ্চ আওয়াজে সভাস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে। নেত্রী মঞ্চ ছাড়ার সময় মহিলারা হাত উঠিয়ে হাত নাড়িয়ে যেন বলতে থাকেন দিদি আবার আসবেন। আমরা আপনারই সঙ্গে আছি।

অন্যদিকে এদিনের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন মিনাখার বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। মঞ্চে দাঁড়িয়েই মন্ত্রী সুজিত বসু ও হাজী নুরুল ইসলামদের নির্দেশ দেন নতুন করে সব সাজাতে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দলের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি নয়। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলবে, তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।