ত্রাণ নিতে এসে শহিদ ৩৪ , বেশির ভাগ নারী ও শিশু
গাজায় একদিনে ১৩৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

- আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 291
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি বর্বরতায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় শহিদ হয়েছেন ১৩৯ ফিলিস্তিনি। শনিবার উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলা আর গুলিতে শহিদ হয়েছেন তারা।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় গাজায় ১৩৯ বেশি ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩৪ জনই গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণসহায়তা নিতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা যুদ্ধে কমপক্ষে ৬৫ হাজারের অধিক মজলুম ফিলিস্তিনি জান্নাতের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা দেড় লক্ষের কাছাকাছি। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, রাফাহের আল-শাকুশ এলাকায় জিএইচএফের ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হঠাৎ গুলি চালায় বর্বর ইসরাইলি সেনারা। ঘটনাস্থলেই শহিদ হন ৩৪ জন। যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। আহত হয়েছে আরও বহু মানুষ।

আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজ্জুম জানান, ‘কোনও পূর্বসতর্কতা ছাড়াই ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করে পশুর ন্যায় সরাসরি গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। হামলার পরপরই এলাকায় হাহাকার ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, জিএইচএফের সহায়তাকেন্দ্রগুলো এখন কার্যত ‘মানব হত্যার কেন্দ্রে’ পরিণত হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মে মাসের শেষ দিকে সংস্থাটি কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে এসব সহায়তাকেন্দ্রে নিহত হয়েছে অন্তত ৮০০ ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ হাজার।
গাজা উপত্যকায় চলমান অবরোধে খাদ্য ও জরুরি সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। গাজা সরকারের তথ্য অনুযায়ী, অপুষ্টির কারণে এ পর্যন্ত ৬৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, পাঁচ বছরের কম বয়সী ৬ লক্ষাধিক শিশু মারাত্মক পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছে।