পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইন্ডিগোর সঙ্কট যেন কাটছেই না। টানা ছ’দিনের অব্যবস্থার পর সপ্তম দিনেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল না। সোমবারও ইন্ডিগো বাতিল করেছে ৩০০-র বেশি উড়ান। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ৩৬০টি ফ্লাইট। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা। ইন্ডিগোর বিপর্যয় নিয়ে কেনো মুখ খুলছে না কেন্দ্র! প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। এদিন বিরোধীরা দাবি করেছেন, ইন্ডিগোর পরিষেবা বিপর্যয় নিয়ে কেন্দ্র কি করছে! দেশজুড়ে বিভিন্ন বিমানবন্দরে বহু মানুষ চরম অসুবিধার মুখে পড়েছেন, তা নিয়ে কেন্দ্র চুপ কেনো! শাসক শিবিরকে চেপে ধরতেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জানান, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু সোমবার বা মঙ্গলবার নিম্নকক্ষে এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দেবেন।
সোমবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে সরব হন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, “আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি, যে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এই সংসদের মাধ্যমে দেশকে জানাক, যে কেনো দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। অনেকেই ডায়ালাইসিস রোগী রয়েছেন। অনেকের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে, অনেকে নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন। বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন হওয়ায় বহু মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।”
সোমবারও বাতিল হয়েছে ১৩৪টি উড়ান—এর মধ্যে ৫৯টি আগমন এবং ৭৫টি প্রস্থান। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বাতিল ১২৭টি, চেন্নাইয়ে ৭১টি, অহমদাবাদে ২০টি উড়ান। বিশাখাপত্তনম, কলকাতা ও মুম্বই থেকেও একাধিক ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এদিন ইন্ডিগোর বিপর্যয় নিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে গগৈ বলেন, “আমাদের বলা হয়েছিল, যে হাওয়াই চপ্পল পরা ব্যক্তিরাও বিমানে ভ্রমণ করবেন। কিন্তু আজ বিমান ভাড়া কুড়ি হাজার টাকা বেড়েছে। কফি বিমানবন্দরে ২৫০ টাকা। আজ দেশজুড়ে বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত। কি হচ্ছে? আমাদের জানানো উচিত সরকারের।” দেশজুড়ে বিমান পরিষেবায় ‘নজিরবিহীন সংকটের’ জন্য সরকারকে দায়ী করছে বিরোধীরা।





























