২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রমযান আশীর্বাদস্বরূপ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
  • / 50

আবু ইয়াসির: রমযান মুমিনের-জীবন অনন্য প্রাপ্তি। রোযার মাধ্যমে  আল্লাহ্তায়ালা তাঁর বান্দাহদের বহুমুখী কল্যাণের সন্ধান দেন।  মানুষের গতিপথ বিভ্রান্ত করার জন্য অভিশপ্ত শয়তান সবসময় পাঁয়তারা করতে থাকে। কিন্তু রমযানের চাঁদ উদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শয়তানকে বন্দি করে দেওয়া হয়। শয়তানের কুমন্ত্রণা দ্বারা বিভ্রান্ত  হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। রমযানে মানবতার প্রত্যাশিত ঠিকানা জান্নাতের দুয়ার খুলে দেওয়া হয়। আর অভিশপ্ত জাহান্নামের দুয়ার দেওয়া হয় বন্ধ করে। যারা জীবনের স্রোতধারা সঠিক পথে প্রবাহিত করতে চান তাদের জন্য রমযান আশীর্বাদস্বরূপ।

‘পবিত্র রমযানের প্রতিটি মুহূর্তের মধ্যে এত বেশি বরকত লুকিয়ে আছে যে, এই মাসে করা নফল কাজগুলো ফরয কাজের মর্যাদা পায়, আর ফরয কাজগুলো সত্তর গুণ অধিক মর্যাদা পায়।’ (বায়হাকি)

‘রমযান মাস এলে আকাশের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, সৎ পথে চলার পথ সহজ হয়ে যায়, শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)

অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে রোযা ঢালস্বরূপ। যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখবে তার অতীত ও বর্তমানের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বলে হাদিসে উল্লেখ আছে। রমযান মুমিনের জন্য কাঙ্ক্ষিত সফলতা লাভের জোরালো হাতছানি। যারা পাপাচারের মাধ্যমে জীবনটাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন রমযান তাদের ক্ষান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। পাপে নিমজ্জ্বিত বান্দাহকে এ মাসের বরকতে  মাফ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন মহান রাব্বুল আলামিন। তবে পূর্ব শর্ত হলো তাকওয়া অর্জনের লক্ষ্যে অবিচল থেকে যথাযথভাবে রোযা পালন করা। পাপময় সমাজ-জীবন থেকে পরিত্রাণ পেতে রমযান আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য হয় মানুষের কাছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রমযান আশীর্বাদস্বরূপ

আপডেট : ৩ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার

আবু ইয়াসির: রমযান মুমিনের-জীবন অনন্য প্রাপ্তি। রোযার মাধ্যমে  আল্লাহ্তায়ালা তাঁর বান্দাহদের বহুমুখী কল্যাণের সন্ধান দেন।  মানুষের গতিপথ বিভ্রান্ত করার জন্য অভিশপ্ত শয়তান সবসময় পাঁয়তারা করতে থাকে। কিন্তু রমযানের চাঁদ উদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শয়তানকে বন্দি করে দেওয়া হয়। শয়তানের কুমন্ত্রণা দ্বারা বিভ্রান্ত  হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। রমযানে মানবতার প্রত্যাশিত ঠিকানা জান্নাতের দুয়ার খুলে দেওয়া হয়। আর অভিশপ্ত জাহান্নামের দুয়ার দেওয়া হয় বন্ধ করে। যারা জীবনের স্রোতধারা সঠিক পথে প্রবাহিত করতে চান তাদের জন্য রমযান আশীর্বাদস্বরূপ।

‘পবিত্র রমযানের প্রতিটি মুহূর্তের মধ্যে এত বেশি বরকত লুকিয়ে আছে যে, এই মাসে করা নফল কাজগুলো ফরয কাজের মর্যাদা পায়, আর ফরয কাজগুলো সত্তর গুণ অধিক মর্যাদা পায়।’ (বায়হাকি)

‘রমযান মাস এলে আকাশের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, সৎ পথে চলার পথ সহজ হয়ে যায়, শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)

অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে রোযা ঢালস্বরূপ। যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখবে তার অতীত ও বর্তমানের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বলে হাদিসে উল্লেখ আছে। রমযান মুমিনের জন্য কাঙ্ক্ষিত সফলতা লাভের জোরালো হাতছানি। যারা পাপাচারের মাধ্যমে জীবনটাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন রমযান তাদের ক্ষান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। পাপে নিমজ্জ্বিত বান্দাহকে এ মাসের বরকতে  মাফ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন মহান রাব্বুল আলামিন। তবে পূর্ব শর্ত হলো তাকওয়া অর্জনের লক্ষ্যে অবিচল থেকে যথাযথভাবে রোযা পালন করা। পাপময় সমাজ-জীবন থেকে পরিত্রাণ পেতে রমযান আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য হয় মানুষের কাছে।